ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খনিতে আটকে পড়া ১৩ ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা

191

নয়াদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের একটি কয়লার খনিতে আটকেপড়া ১৩ ব্যক্তির মৃতের আশংকা করা হচ্ছে। শুক্রবার সরকারি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর সিনহুয়া’র।
পুলিশ জানায় কয়লা খনি থেকে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছিল।
মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী পূর্ব জেনশিয়ার সেইপাং থানাধীন লা লাইটিন নদী তীরবর্তী কেসানে এ ঘটনা ঘটে।
একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ‘গতকাল কেসান এলাকায় লুমথারি গ্রামের তিন বাসিন্দাসহ ১৩ জনের আটকে পড়ার কথা জানাগেছে। বন্যার কারণে তারা সেখানে আটকে পড়ে।’ তিনি জানান, আমাদের পুলিশ কন্টিনজেন্ট ও দুর্যোগ মোকাবিলায় নিযুক্ত বাহিনী সেখানে যায়। তারা আটকে পড়াদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়।’
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, খনির অভ্যন্তরে বন্যার ফলে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।’
তিনি জানান, পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করে খনিতে কাজ করায় অভ্যস্ত স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, ‘আমাদের পক্ষে গতকাল থেকে তাদের কোন সন্ধান বা যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় আশঙ্কা হচ্ছে যে তাদের জীবিতাবস্থায় খুঁজে পাওয়ার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।’
মেঘালয় ভারতের অন্যতম খনি সমৃদ্ধ এলাকা। প্রায় ৬শ’৪০ মিলিয়ন টন কয়লা সেখানে মজুত আছে।
কর্মীরা জানান, ভারতের পরিবেশ বিষয়ক আদালত ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল-এর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও সেখানে প্রায়ই অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়।’
জানা গেছে যে, ২০১২ সালে প্রদেশের দক্ষিণ গাঢ় পাহাড় এলাকায় অবৈধ কয়লা সংগ্রহ করতে গেলে প্রায় ১৫ জন কয়লা শ্রমিক আটকে পড়ে। তাদের মরদেহ কখনোই আর উদ্ধার করা যায়নি।