ডাক বিভাগের এসএমই বান্ধব ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’

674

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’ এসএমই ব্যবসায় বান্ধব করার প্রয়াসে ‘উদ্যোক্তা’ প্রস্তুত করছে।
আজ এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে একথা জানিয়ে বলা হয় , এর ফলে শুধুমাত্র কর্মসংস্থানই সৃষ্টি হবে না, ‘নগদ’-এর লেনদেনের সীমা এসএমই খাতের সংশ্লিষ্টদের ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়তা করবে বলে ধারণা করছে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, গ্রাম এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের জনগণ বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীগণ প্রায়শই থেকে যায় এ সকল আর্থিক সুবিধার আওতার বাইরে। এর অন্যতম কারণ, বাংলাদেশের ইউনিয়ন, গ্রাম এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ এখনও নগদ লেনদেনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়,দেশের প্রথম ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’- সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে। ডাক বিভাগের সুবিন্যস্ত শাখা এবং উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এই লেনদেন সেবা পৌঁছে যাবে শহর, ইউনিয়ন, গ্রাম এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে। এছাড়াও, ‘নগদ’-এর প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ সীমা ধার্য করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, যা প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার আওতার বাইরে থাকা কৃষি, মৎস্য এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন লেনদেনকে করে তুলবে দ্রুত এবং সহজ।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সোলায়মান সুখন বলেন, ‘শতবর্ষী এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আছে দেশব্যাপী সুবিন্যস্ত শাখা এবং দক্ষ জনবল যা বাংলাদেশের যে কোনও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক বড়। নগদ সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ৬৬ শতাংশ ও ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ সকলকে ইলেক্ট্রনিক উপায়ে আর্থিক লেনদেনের সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, এ সেবাটি সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে আওতাভুক্ত হচ্ছে ৮ হাজার ৫শ’র বেশি পোস্ট ই-সেন্টার এবং সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ প্রস্তুত করছে ২ লাখেরও বেশি ‘উদ্যোক্তা’। এ সকল উদ্যোক্তা গ্রাহকদের ‘নগদ’ সেবা প্রদানের মাধ্যমে যে কোন ইলেক্ট্রনিক উপায়ে আর্থিক লেনদেন সেবার চাইতে বেশি অর্থ উপার্জনে সক্ষম হবে। ফলস্বরূপ বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়বে, বৃদ্ধি পাবে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা এবং এর মাধ্যমে দেশের এসএমই খাতের একটি নতুন ভিত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’