বাসস দেশ-৩৫ : আইন মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ১০ বছরে ব্যয় বরাদ্দ ৩ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা

583

বাসস দেশ-৩৫
আইন মন্ত্রণালয়-অবকাঠামো
আইন মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ১০ বছরে ব্যয় বরাদ্দ ৩ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছরে অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ করেছে ৩ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা।
এরমধ্যে ২ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা অবকাঠামো উন্নয়ন ইতোমধ্যেই সাধিত হয়েছে। এছাড়া এ মন্ত্রণালয় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হলো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির স্থান সংকুলানের জন্য ‘বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত ভবন নির্মাণ (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো ৪২টি জেলায় ১২ তলা ভিতবিশিষ্ট ৮/১০ তলা সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ এবং অন্য ২২টি জেলায় আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ। এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০০৯ সালে এবং প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
আজ এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০১২ মেয়াদে ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ভবনের ৫ম তলা থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত এবং হাজতখানা কাম পুলিশ ব্যারাকের ৩য় তলা থেকে ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
দেওয়ানি আদালতের বিচারকদের এজলাসসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ২৮টি জেলায় আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ জেলা জজ আদালত ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় ১৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৭টি জেলায় পূর্বের ২-তলা জেলা জজ আদালত ভবনগুলো ৩/৪-তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিচারকদের এজলাস, খাস কামড়া, রেকর্ড রুম এবং দাপ্তরিক অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালত ভবনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় এটি ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের স্থান সংকুলানের জন্য ২০১০-২০১৩ সময়কালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের ৬ষ্ঠ তলার উপর ৭ম, ৮ম, ৯ম এবং ১০ম তলার আংশিক ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আইন কমিশনের স্থান সংকুলানের জন্য ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে বর্তমানে এটিকে ১২ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হচ্ছে এবং একাজ এখন সমাপ্তির পথে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণের এজলাস এবং চে¤¦ারের অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা দূর করার জন্য সেখানে ১২ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ আগস্ট/২০১৭ থেকে জুন/২০২০ পর্যন্ত।
আইন মন্ত্রণালয় ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বাগেরহাট, রংপুর, নেত্রকোণা ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি ভবন নির্মাণ বাবদ ৬৬ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বর্তমানে ১১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত।
সরকার জনগণকে উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সকল জেলা ও উপজেলায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসভবন নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে (২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত) জেলা রেজিস্ট্রি অফিস এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহকে ভৌত অবকাঠামো সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১টি উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও ৪২টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ করেছে। বর্তমানে ৩০৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ১৪টি জেলা রেজিস্ট্রি অফিস এবং ৯৮টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ করছে।
বাসস/তবি/জেডআরএম/২০৫৫/এএএ