ভোলা মুক্ত দিবস আজ

2770

ভোলা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ভোলা মুক্ত দিবস আজ ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল ভোলা। এদিন ভোর রাতে পাক বাহিনী খেয়াঘাট থেকে কার্গো লঞ্চ যোগে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ রাজপথে নেমে আসে। ‘জয় বাংলা’ ‘তোমার নেতা, আমার নেতা’ ‘শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে স্লোাগানে মুখরিত করে চারপাশ। বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠে সবাই।
ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে থাকে। আকাশে উড়তে থাকে মিত্র বাহিনীর বিমান। হানাদারের দল আগেই নিশ্চিত পরাজয় জেনে পালাবার পথ খুঁজছিলো। ১০ ডিসেম্বর তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোলার খালে গাছ ফেলে লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে হাজার হাজার জনতা। এসময় তারা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে সকল পাকসেনারা নিহত হয়।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের বাসস’কে জানান, ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে পাক বাহিনীর অবস্থান ছিলো। ৯ ডিসেম্বর রাতে ওয়াবদার ঘেরাও এর পরিকল্পনা নেই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু তারা পরাজয় জেনে আগেই সটকে পড়ে সেখান থেকে। পরে তাদের পালিয়ে যাবার সময় ভোলার খালে আমরা প্রতিহতের চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, পাকসেনাদের পালাবার খবরে হাজার হাজার জনতা রাজপথে নেমে আসে বিজয় উল্লাসে। সকালে সবার অংশগ্রহণে বিজয় র‌্যালি করি। এক ভিন্ন আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেদিন।
এদিকে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, র‌্যালি, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোলা মুক্ত দিবস পালন করা হচ্ছে।