বাসস দেশ-২২ : শেরপুর ও পঞ্চগড় মুক্ত দিবস আগামীকাল

565

বাসস দেশ-২২
মুক্তদিবস-আগামীকাল
শেরপুর ও পঞ্চগড় মুক্ত দিবস আগামীকাল
ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর শেরপুরের নকলা ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ হানাদার মুক্ত হয়। এ সংক্রান্ত বাসস’র সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর:
শেরপুর: ১৯৭১ সালের এই দিনে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সীমান্ত জেলা শেরপুরের নকলা উপজেলাকে পাকিস্থানি হানাদারমুক্ত করেছিলেন। পাকিস্থানি বাহিনীকে বিতারিত করে যুদ্ধকালীন ১১নং সেক্টরের আওতায় থাকা নকলা অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত করে বিজয়ের পতাকা উড়ান তারা।
দিবসটির স্মরণে নকলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক কমান্ডার স্মৃতি সংসদ, পারফেক্ট পাবলিক স্কুলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ম্ুিক্তযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ সম্পন্ন ও ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর স্থাপন হওয়ায় নতুন আমেজে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে বলে জানান উপজেলা কমান্ডার।
উল্লেখ্য যে, মুক্তিযোদ্ধ চলাকালে শেরপুর জেলা ছিল ১১নং সেক্টরের অধীনে। তখন জেলার বর্তমান ৫ টি উপজেলায় ছোট বড় ৩০ কি ৩৫ টি সম্মূখ যুদ্ধ হয়েছিল। ওইসব লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করায় ৮৪ জন বীর সন্তান শহীদ হন, নির্মমতার স্বীকার হন হাজারও নিরীহ বাঙালি। তাছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮৭ জনকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। শ্রীবরদী জগতপুর গ্রামেও ৬১ জনকে হত্যা করে তারা। সূর্য্যদীতে গণহত্যা ও প্রতিরোধ যুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদ হন আরও ৬৯ জন। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য জেলার একজন বীর বিক্রম ও দুইজন বীর প্রতীক উপাধি পেয়েছেন।
অপরদিকে, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস আগামীকাল। ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজয় বরণ করে ভোর ৬টায় দেবীগঞ্জ থেকে ডোমার হয়ে সৈয়দপুরের দিকে রওনা হয়। দেবীগঞ্জে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও দেবীগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি মরহুম সফিউল আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে দেবীগঞ্জের বর্তমান আনসার ভিডিপি অফিসের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মরহুম সফিউল আলমের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
বাসস/সংবাদদাতা/মমআ/২১০০/মরপা