বাজিস-১০ : বগুড়ায় অবসরে যাওয়ার ১৫ বছর অতিক্রান্তদের পেনশন পুনঃস্থাপন করছে সরকার

395

বাজিস-১০
বগুড়া-অবসর
বগুড়ায় অবসরে যাওয়ার ১৫ বছর অতিক্রান্তদের পেনশন পুনঃস্থাপন করছে সরকার
বগুড়া, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮(বাসস) : সরকারি কর্মচারি যারা এলপিআর/পিআরএল এর ১৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সরকার পেনশন পুনঃস্থাপন করছে। এতে পেনশনভোগীরা পেনশনের অর্থ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। তাদের সমর্পনকারিদের মানবেতর জীবনের অবসান হয়েছে।
যাদের এলপিআর ও পিআরএল বয়স ১৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকার পেনশন পুনঃস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শতভাগ পেনশন সমর্পনকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা মাসিক পেনশন পুনঃস্থাপনে কার্যক্রমের আওতায় বগুড়া থেকে এ পর্যন্ত ৮৭ জনের আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকে পেনশনের টাকাও উত্তোলন করেছেন বলে জানিয়েছে জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় ।
প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের পেনশন ও ফান্ড ম্যানজমেন্ট থেকে এ পেনশন প্রদান করা হচ্ছে।
অবসরগ্রহনের সময়ের সময়ের মূল বেতন এন্ট্রি করলে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আবেদনকারীদের এরিয়া বিল হিসাবে গন্য হবে। তারা বকেয়া পেনশন ছাড়াও নিয়মিত ভাবে চিকিৎসাভাতা উৎসবভাতা ও বৈশাখী ভাতা প্রাপ্য হবেন। বগুড়ায় এ পর্যন্ত ৮৭ জনের আবেদন পেয়েছেন জেলা ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বগুড়া সদরে ৭০ জন এবং অন্যান্য উপজেলায় ১৭ জন শতভাগ পেনশন সমর্পনকারি আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে পেনশন পেয়েছেন। বগুড়া সদরের টিএনটি থেকে অবসরে যাওয়া আব্দুস সাত্তার জানান, আকষ্মিক ভাবে সরকারের এ ঘোষণায় তিনি অভিভূত। শতভাগ পেনশন সমর্পনকারি সাত্তার ভেবে ছিলেন অবসরে যাওযার পর তিনি এতদিন বাঁচবেন এটা তার ধারনা ছিল না।
অবসরের পর ১৫ বছর বাঁচবেন না এমনই ধারনা থেকে শতভাগ পেনশন বিক্রি করেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান সহকারি দিজেন কুমার দেব। অবসর প্রাপ্ত বগুড়া জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মকবুল হোসেন। তারা পেনশনের টাকা উত্তোলন করে বলেন তাদের মানবেতর জীবনের অবসান ঘটেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯৫৭/মরপা