বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : ভোট কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার কোন অভিপ্রায় সরকারের নেই : প্রধানমন্ত্রী

353

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ভোট
ভোট কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার কোন অভিপ্রায় সরকারের নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সকলকে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাবেক সরকারি কর্মচারিদের তাঁর সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের সামনে তুলে ধারার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘জনগণের জন্য কেবল কাজ করলেই হবে না। জনগণকে এই কাজের কথাগুলো বার বার স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা এ সময় জনঘণের ওপর বিএনপি-জামাতের অত্যাচার নির্যাতন বিশেষ করে ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের সেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সে সময় সারাদেশে আওয়ামী লীগের হাজার- হাজার নেতা-কর্মী বিএনপি-জামায়াতের নৃংসতার শিকার হরেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় বছরের শিশুও তাদের পাশবিকতা থেকে রেহাই পায়নি। সে সময় কয়েকশ’ সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল বিএনপি-জামায়াত। দেশের সেই সব অন্ধকার দিনগুলো জনগণ এখনও ভুলে যায়নি।
সে সময়কার সরকারি চাকুরেদের দুর্দশাকে হৃদয়বিদারক আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কখনই কোন প্রতিহিংসামূলক বা বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করেনি।
তিনি বলেন, কারণ আমি মনে করি সরকারি চাকুরেরা সরকারি কর্মকর্তা এবং তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কে কতখানি দায়িত্ব নিয়ে দক্ষতা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলেন সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য বিষয়।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪২ জন সাবেক মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব, বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, রাষ্ট্রদূত, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব।
তাদের মধ্যে রয়েছেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ ও মো. আবুল কাশেম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহ উদ্দিন, মো. মেসবাহ-উল আলম ও ইউনুসুর রহমান এবং সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী।
সাবেক সচিবদের মধ্যে- আবু তাহের, হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, মাহবুব-উল আলম খান, শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, আবদুল মালেক মিয়া, দেওয়ান জাকির হোসেন, সুনিল কান্তি বোস, সৈয়দ আলী কবির, শেখ খুরশিদ আলম, আতাহারুল ইসলাম, সমর চন্দ্র পাল, নূরুল হক, আবদুল মান্নান হাওলাদার, এ টি কে এম ইসমাইল, শফিকুল আজম, কামরুন্নেছা খানম, মো. মিজানুর রহমান, খন্দকার আসাদুজ্জামান, মো. কাজী আখতার হোসেন, আরাস্তু খান, এম এ কাদের সরকার, ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, এ এইচ এম মাসুদ সিদ্দিকী, মো. আজিজুর রহমান, শফিক আলম মেহেদী, কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, এ এল এম আবদুর রহমান, হুমায়ুন খালিদ, আনোয়ার ফারুক, শাহিন খান, মুনসুর আলী সিকদার, জহুরুল আলম, রীতি ইব্রাহিম, নজরুল ইসলাম খান, ড. খন্দকার শওকত হোসেন, মিকাইল শিপার, খোরশেদ আলম চৌধুরী, এম এ হান্নান, এ কে এম আমির হোসেন, নূরুন্নবী তালুকদার, ফখরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, সিরাজুল ইসলাম, শ্যামল কান্তি ঘোষ, এ এম বদরুদ্দোজা, শিরীন আখতার, খন্দকার ইফতেখার হায়দার, কায়কোবাদ হোসেন, আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, নাজমুল ইসলাম, মমতাজ আলা শাকুর আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, অশোক মাধব রায়, ড. প্রসান্ত কুমার রায় ও শামসুল হক, এডিবি’র সাবেক কর্মকর্তা পারভেজ ইমদাদ এবং সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক সদস্য, কাজী নাসিরুল ইসলাম, মো. ওয়াজেদ আলী খান ও জহুরুল আলম সংহতি প্রকাশ করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সাবেক রাষ্ট্রদূত এ টি এম নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. আজিজুল হক, গোলাম মোহাম্মদ, মো. আবদুল হান্নান, আতিকুর রহমান, ইখতিয়ার চৌধুরী, ওয়াহিদুর রহমান ও আবদুস সাত্তার সংহতি প্রকাশ করেন।
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি আবদুল মান্নান, মো. শামসুদ্দোহা খন্দকার, অমূল্য ভূষণ বড়–য়া ও আবদুল মান্নান, সাবেক ডিআইজি মোস্তাক হোসেন, এ এইচ এম ফিরোজ কবির, গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম শিকদার, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আবদুল জলিল মন্ডল ও শফিকুর রহমান সংহতি প্রকাশ করেন।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রকৌশল, বন, ডাক, পুলিশ, ট্যাক্স, তথ্য, টেলিকম, কাস্টমস ও এক্সাইজ, অডিট ও একাউন্টস, রেলওয়ে, খাদ্য ও কৃষি ক্যাডারের ১৬৫ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও সংহতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/১২৩০/এবিএইচ