নদী দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে : নৌপরিবহন মন্ত্রী

335
dav

ঢাকা, ২৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নদী দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।
তিনি বলেন, ‘নদী দখল ও দূষণকারীদের সরকার কোন ছাড় দিবেনা। তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। যেমনটি সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দেখিয়েছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে দেখাচ্ছে।’
আজ বুধবার ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে সন্ধানী জাহাজে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নদী নিরাপত্তায় সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’ ২৩ মে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
‘নোঙর’ এর সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল ও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, পরিবেশবিদ মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।
নৌদুর্ঘটনা রোধে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘মালিক, শ্রমিক, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা সৃষ্টির ফলে নৌদুর্ঘটনা হ্রাস করতে পেরেছি।সকলের সহায়তায় বিগত তিনবছরে বড় ধরণের কোন লঞ্চডুবি হয়নি।’
তিনি বলেন, দুর্ঘটনারোধে জনগণের মাঝে সচেতনা গড়ে তুলতে সরকার ২০০৯ সাল থেকে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একসময় ২৪,০০০ কিলোমিটার নৌপথ ছিল। বিগত সরকারগুলোর অযতœ ও অবহেলায় তা ৩,৬০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করেছে।
তিনি বলেন, ‘নদী খননের জন্য ড্রেজার প্রয়োজন। কিন্তু স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাতটি ড্রেজার সংগ্রহের পর কোন সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।