ওস্তাদ রইচ উদ্দীন স্মরণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

315

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : সংগীত সাধক ওস্তাদ মুনশী রইচ উদ্দীন স্মরণে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন , তিনি স্মরণযোগ্য সুরের ভুবন সৃষ্টিসহ সংগীত জগতের এক কালজয়ী সাধক। আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনার অধিকারী মুন্সী রইচ উদ্দিন সংগীতের প্রতি যেমন ছিলেন অনুরক্ত, তেমন অসংখ্য রাগ সৃষ্টি করেছেন।
বক্তারা বলেন , উচ্চাঙ্গ সংগীতের ইতিহাস অধ্যয়ন ও ক্রমবিকাশের পটভূমি রচনায় তার অবদান অনস্বীকার্য। ‘সরল সঙ্গীতসার’ নামে সংগীত গ্রন্থের একটি পান্ডুলিপি প্রণয়ন করেন। সংগীতশিক্ষা পদ্ধতি নামে আরেকটি গ্রন্থের পান্ডুলিপি ও পদ্মাবতী নামে একটি ‘রাগ’ও সৃষ্টি করেন। এই খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ অভিনব শতরাগসহ প্রায় সহ¯্র গীত বন্দেশ রচনা করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘সংগীত শিক্ষা প্রসারে ওস্তাদ মুনশী রইস উদ্দীন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গতকাল সন্ধ্যায় এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সঙ্গীত গবেষক ড. জেসমিন বুলি । আলোচনায় অংশ নেন লোক সংগীত শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ওস্তাদ মুন্শী রইস উদ্দীনের পুত্র এ এফ এম আসাদুজ্জামান এবং গণ-সংগীত শিল্পী মাহমুদ সেলিম। সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান। স্বাগত ভাষণ দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ ।
আজাদ রহমান বলেন, তিনি স্মরণযোগ্য সুরের ভুবন সৃষ্টিসহ সংগীত জগতের এ গুণী বরেণ্য পুরুষ অসংখ্য শিষ্য ও সংগীত শিল্পী সৃষ্টি করে গেছেন। আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনার অধিকারী মুন্সী রইচ উদ্দিন সংগীতের প্রতি যেমন ছিলেন অনুরক্ত তদ্রূপ ইসলামিক অনুশাসনের জীবনযাপনে পরিপূর্ণ আন্তরিক ও অভ্যস্ত। কর্মের মাধ্যমেই তিনি আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।