বিজয়ের মাসের প্রথম দিন শুরু আজ

299

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বিজয়ের মাস আজ শুরু হয়েছে ।
২০১৪ সাল থেকে দেশের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো প্রতিবছর দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। এবারও তারা দিনটি পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করে।
বিজয়ের মাসের প্রথম দিন আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য ‘বিজয় র‌্যালি’ বের করা হয়। বিজয় র‌্যালি শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তরুণ প্রজন্মকে অঙ্গীকার করতে হবে।
উপাচার্য এরআগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বিজয় র‌্যালির উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি টিএসসি হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
‘বিজয়ের মাসের প্রথম প্রভাত’ শিরোনামে পদক্ষেপ বাংলাদেশ সকাল ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিিিথ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান । অনুষ্ঠানে ঋষিজ শিল্পি গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিল্পিরা সংগীত পরিবেশন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে মিরপুর কবরস্থানে পুস্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরন হয় এ মাসে।
বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা । ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল ,এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি ত্রিশ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।
এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজীর বিশ্বে নেই।