কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুুকযুদ্ধে দুই মাদক বিক্রেতা নিহত

315

কুষ্টিয়া, ২৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ফটিক ওরফে গাফফার (৩৭) ও লিটন শেখ (৪০) নামে দুই মাদক বিক্রেতা নিহত এবং ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মৃত ফটিক ওরফে গাফফার কুমারখালী উপজলার এলেঙ্গীপাড়া গ্রামের মৃত ওসমান গনীর ছেলে ও লিটন শেখ উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার মৃত গোলবার শেখের ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্র, গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ার গড়াই নদীর পাড় সংলগ্ন ব্রিজের নিচে ও ভেড়ামারা উপজেলার হাওয়াখালী ইটভাটা মাঠে এই পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। কুমারখালী থানার ওসি আব্দুল খালেক ও ভেড়ামারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বন্দুকযুদ্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রির উদ্দেশ্যে একদল মাদক বিক্রেতা লাহিনীপাড়ার গড়াই নদীর পাড় সংলগ্ন ব্রিজের নিচে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য কর গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ ও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধে একজন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে পুলিশ জানায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি শীর্ষ মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী ফটিক ওরফে গাফফার। সে তালিকাভূক্ত একজন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন- এসআই হামিদুর রহমান, শফিকুর রহমান, এএসআই আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল আলাউদ্দিন ও ফিরোজ।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও ৭শ’ পিস ইয়াবা ও ৫০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ভেড়ামারা উপজেলার হাওয়াখালী ইটভাটা মাঠে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক বিক্রেতা লিটন শেখ (৪৫) নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি, ৩ রাউন্ড গুলি, ৫০০ পিস ইয়াবা ও ২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে। পরিবারের দাবি গতকাল রাত থেকে লিটন নিখোঁজ ছিল।