বাসস দেশ-১৫ : বাংলাদেশী ডিসএ্যাবিলিটি অ্যাডভোকেট ভাস্কর ভট্টাচার্য ইউনেস্কো পুরস্কার পাচ্ছেন

377

বাসস দেশ-১৫
ইউনেস্কো-পুরস্কার বাংলাদেশী
বাংলাদেশী ডিসএ্যাবিলিটি অ্যাডভোকেট ভাস্কর ভট্টাচার্য ইউনেস্কো পুরস্কার পাচ্ছেন
ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশী ‘ডিসএ্যাবিলিটি অ্যাডভোকেট’ ভাস্কর ভট্টাচার্য এবং বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট (চীন)কে আগামী ৩ ডিসেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে ‘ডিজিটাল এম্পাওয়ারমেন্ট অব পার্সনস উইথ ডিসএ্যাবিলিটিস’ বিষয়ক ইউনেস্কো পুরস্কার দেয়া হবে।
কুয়েতের সহায়তায় প্রবর্তিত ও সেদেশের সাবেক আমির জাবের আল আহম্মাদ আল জাবের আল সাবাহ-এর নামে নামকরণকৃত এই পুরস্কার ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব পার্সনস’ উপলক্ষে প্রদান করা হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং জ্ঞানের মাধ্যমে অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য দুই বিজয়ীর কাজের স্বীকৃতি এ পুরস্কার।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্যে অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি ও সমতা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ সহশ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূল বিষয় ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে থাকবে না কেউ’-কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে থাকবে এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল স্টার কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুসি হকিং (প্রখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের কন্যা) সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। লুসি হকিং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।
ইউনেস্কোর যোগাযোগ ও তথ্য শাখার নলেজ সোসাইটিস ডিভিশনের পরিচালক ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন।
ইউনেস্কোতে নিযুক্ত কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. আদম আল মোল্লা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল স্টার কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুচি হকিং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
কুয়েত সরকারের প্রতিনিধি শেখ মুবারক জাবের আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ অপর একটি অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন এবং পুরস্কার গ্রহনকারি ভাসকর ভট্টচার্য (ব্যক্তিগত পর্যায়ে) লরেট টেনসেন্ট (সাংগঠনিক পর্যায়ে) অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে চট্রগ্রাম ভিত্তিক এনজিও ’ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল একশন থেকে ভাস্কর ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখবেন। তিনি এবং তার সহকর্মীরা প্রতিবন্ধিদের কাজের সুযোগ করে দিতে নিয়োগকারীদের একটি নেট ওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধী এবং তথ্য অধিকার বিষয়ে জাতীয় পযার্য়ে প্রচারনাও চালিয়ে থাকেন। ভট্টচার্য ভিজুয়াল, প্রিন্ট এবং শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য চারটি ফর্মে বাংলাদেশের প্রথম সহজলভ্য ডিকশনারি প্রকাশ এবং প্রতিবন্ধীদের ই-মাইক্রো ক্রেডিট সাপোর্টের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও সফল হয়েছেন।
সাংগঠনিক ক্যাটাগরিতে একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রযুক্তি এবং কালচারাল এন্টারপ্রাইজ টেনসেন্ট (চীন) ইনক্লুসিভ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি এ্যাকসেস টু ইনফরমেশনে গুরুত্ব দিয়েছে।
চীনে সকল মানুষের জন্য আগাম তথ্য প্রাপ্তিতে অপটিমিস্টিক ডিজিটাল টেকনোলজিতে পেশাগত তথ্য প্রাপ্তিতে সহযোগি টেনসেন্ট। প্রতিবন্ধীদের জীবন মান উন্নয়নে বিশেষ প্রয়োজনে জটিল তথ্য প্রাপ্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইস আরো সহজীকরণে টেনসেন্টের পণ্য সহায়ক হচ্ছে।
বাসস/এমকেডি/অনু-এমকে-অমি/১৮৫৬/রশিদ/-এবিএইচ