শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল

366

ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও অধ্যাপক কাউয়ুম চৌধুরীর তৃতীয় মত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ৩০ নভেম্বর।
বাংলাদেশের চিত্রশিল্প প্রসারে পঞ্চাশ দশক থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে শিল্প, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধারে বিরামহীন কাজ করেছেন। দেশের সংবাদপত্র ও বই প্রকাশনার শৈল্পিক উৎকর্ষে যেসব শিল্পীরা ভূমিকা পালন করেছেন কাইয়ুম চৌধুরী তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বইয়ের প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জায় এনেছেন আধুনিকতা এবং নতুনধারার সৃষ্টিশীলতা ।
শিল্পীর জন্ম ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে। ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সংগীত উৎসব মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীকে সিএমএইচ’এ নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিল্পীকে মীরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শিল্পী ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুলে এসএসসি (১৯৪৯), ঢাকা আর্ট কলেজে ¯œাতক ডিগ্রী ( ১৯৫৪) লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি কলেজে শিল্পী কামরুল হাসানের অধীনে ডিজাইন সেন্টার স্থাপন করেন। ১৯৫৮ সালে শিল্পী পাকিস্তান অবজারভারে প্রধান আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন। একই সাথে সাপ্তাহিক চিত্রালীর ও দৈনিক পূর্বদেশ’এ চাকরি করেন। ১৯৬৫ সালে শিল্পী পুনরায় যোগ দেন আর্ট কলেজে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিিিটউট থেকে ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক কাইয়ুম চৌধুরী অবসরে যান এবং কিন্তু ২০০২ সাল পর্যন্ত এখানে শিক্ষকতা করেন। শিল্পী আরও যে সব মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা করেন সেগুলো হচ্ছে, প্রথম আলো, সচিত্র সন্ধ্যানী, মূলধারা প্রভৃতি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শিল্পীদের নিয়ে গঠিত ‘চারুকলা শিল্পী সংগ্রাম পরিষদ’এর আহবায়ক ছিলেন তিনি।
শিল্প, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকার শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে একুশে পদক (১৯৮৪) ও স্বাধীনতা পদক (২০১৪) প্রদান করে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু পুরস্কার (১৯৭৪), জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ পুরস্কার (১৯৭৫), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭), সুলতান পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।