রবীন্দ্রনাথ চিরকাল আমাদের সাহসের প্রতীক : ড. গওহর রিজভী

346

ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮ ( বাসস) : রবীন্দ্র উৎসবে বক্তারা বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতি, ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও শিল্প-সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। বিশ্বসভায় সার্বিক দিকে দিয়ে বাঙালিকে তিনি তার সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে পরিচিতি ঘঠিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের চিরকালই সুখে-দুখে আপনজন এবং সাহসের প্রতীক।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও রবীন্দ্র একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রবীন্দ্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা এই বক্তব্য রাখেন।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তে গত রাতে এই উৎসব উদ্বোধন করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহম্মদ সামাদ। সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র একাডেমির সভাপতি আজিজুর রহামান আজিজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শিল্পী বুলবুল মহলানবিশ।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা,গান চিরকালই পড়তে হবে আমাদের। তার রচরার মধ্যে যে মণিমুক্তা এবং সৃষ্টিশীলতা রয়েছে তা সব সময়েই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, যে আমলে বৃটিশরা আমাদের রাজনীতি, শিল্প-সংস্কৃতির অধিকার বঞ্চিত করছিল, রবীন্দ্রনাথ তার লেখনী দিয়ে এ সবের প্রতিবাদ করেছেন এবং বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছেন। তার কবিতা, গানসহ নানা সৃষ্টিকর্মেই আমরা এর প্রমাণ পাই।
ড. গওহর জামিল বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালিকে সব দিক দিয়ে বিশ্বসভায় পরিচিত করেছেন। আজও তার সৃষ্টিকর্ম বিশ্বে সমাদৃত। যতকাল বাংলাদেশ, বাঙালির অস্তিত্ব টিকে থাকবে এবং ততোকাল কবিগুরুর প্রয়োজনীয়তা থাকবে। তার সৃষ্টিকর্ম আমাদের চিরকালের শিক্ষার উপকরণ এবং সাহসের প্রতীক।
রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উৎসবের সূচনা ঘটে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ফাহমিদা খাতুন ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ আহেমদ রফিককে সন্মাননা প্রদান করা হয়। অতিথিরা তাদের মাঝে সন্মননা ক্রেস্ট তুলে দেন। দুদিনব্যাপী উৎসবের প্রথম দিনে তিনটি রবীন্দ্র বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছিল রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা,রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্যগীত এবং শিশুকন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গল্পপাঠ।