বাসস দেশ-২৫ : ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীদের সম্মানি ভাতা ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি

320

বাসস দেশ-২৫
ডাক বিভাগ-ইডি
ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীদের সম্মানি ভাতা ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অবিভাগীয় (ইডি) কর্মচারীদের মাসিক সম্মানী ভাতা ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ডাক বিভাগের ২৩ হাজার ২১ জন ইডি কর্মচারী এই সুবিধা পাবেন।
সম্মানি পুনঃনির্ধারণের ফলে ইডিএসপিএম পদমর্যাদার সম্মানি বর্তমান ৩ হাজার ৩শ’ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ৮৪১, ইডিএ পদমর্যাদার কর্মচারীদের ২ হাজার ৫২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, ইডিডিএ পদমর্যাদার কর্মচারীদের ২ হাজার ৪৬০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৩৫৪ টাকা, ইডিএমসি পদমর্যাদার কর্মচারীদের ২ হাজার ৩৬০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেযে ৪ হাজার ১৭৭ টাকা এবং অন্যান্য ইডি কর্মচারীদের ২ হাজার ২৬০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। গড়ে পাঁচটি শ্রেণিতে কর্মচারীদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির এ হার ৭৭ শতাংশ।
দীর্ঘ তিন মাস যাচাই বাছাই শেষে গত ২৫ নভেম্বর এ আদেশ জারি করা হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাক বিভাগের অবিভাগীয় এসব কর্মচারীদের সম্মানি বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আজ এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সমাজের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা দুনিয়াব্যাপী সমাদৃত। মানবতার প্রতি তাঁর ভূমিকা তাঁকে ‘মাদার অভ হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিভাগীয় ডাক কর্মচারীদের সম্মানি ২০১৩ ও ২০১৬ সালে আরো দুই দফা বৃদ্ধি করেছিলেন। এর আগে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইডি কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ সম্মানী ছিল যথাক্রমে ৯৭৮ ও ৬৭৪ টাকা। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইডি কর্মচারীদের সম্মানি ৮৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় উন্নীত করেন। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইডি কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সম্মানি ৮৮৯ টাকায় উন্নীত করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করেছেন। রূপান্তরিত এ সকল ডিজিটাল গ্রামীণ ডাকঘর পরিচালনায় ইডি কর্মচারীদের ডিজিটাল উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল উপযোগী মানব সম্পদ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ঘরে ঘরে যারা চিঠি বিলি করতেন তাদেরকে কম্পিউটারের বাটন টিপে ডিজিটাল পোস্টম্যান কিংবা ডাক হরকরার ভূমিকা পালন করার উপযোগী করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করবে।
বাসস/তবি/এসই/১৯৪০/কেএমকে