বাসস ক্রীড়া-১০ : ইউরো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত কেন ও ইকার্ডি

346

বাসস ক্রীড়া-১০
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স-টোটেনহ্যাম-ইন্টার-প্রিভিউ
ইউরো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত কেন ও ইকার্ডি
লন্ডন, ২৭ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস/এএফপি) : আগামীকাল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ‘বাঁচা মরার লড়াইয়ে’ পরস্পরের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে হ্যারি কেনের টোটেনহ্যাম ও মাউরো ইকার্ডির ইন্টার মিলান। দুই তারকাই শুরুতে অবহেলিত হবার পর নিজেদের যোগ্যতায় পৌঁছে গেছেন ক্যারিয়ারের শীর্ষ স্থানে।
বর্তমানে নিজ নিজ ক্লাবে দুই জনই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন প্লে মেকার হিসেবে। ক্রীড়াঙ্গনে এখন দুই জনই গুরুত্বপূর্ণ তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। যাদের এখন দলে ভেড়ানোর চেষ্টায় নেমেছে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এই সপ্তাহেই তাদের দুই দলের জন্য অপেক্ষা করছে বড় কিছু প্রাপ্তির সুযোগ।
আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া ইকার্ডি নয় বছর বয়সে চালে যায় স্পেনে। ২০০৭ সালে টিন এজ সময়েই তাকে নিয়ে টানা হ্যাচড়া শুরু হয় ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল ও লিভারপুলের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে ইকার্ডির প্রথম পছন্দ ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু তার আমলে স্প্যানিশ জায়ান্টরা কেন জানি তার প্রতি সুবিচার করেনি। ক্যাম্প ন্যুতে তিনি কখনো প্রথম একাদশে ঠাঁই পাননি। ধারে ইতালীয় ক্লাব সাম্পদারিয়ায় খেলতে গিয়ে নিজেকে আলোচনায় নিয়ে আসেন তিনি। ২০১৩ সালে ইন্টার মিলানে যোগ দেয়ার পর স্ব-মহিমায় প্রতিষ্টা লাভ করেন ইকার্ডি। ক্লাবটির হয়ে ১৬৭টি ম্যাচে অংশ নিয়ে লীগে ১০৬ গোল করেছেন তিনি। সিরি এ লীগে দুইবার তিনি যৌথভাবে লাভ করেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন। তিন বছর আগে ক্লাবটির নেতৃত্ব লাভ করেন ইকার্ডি।
একই রকম ইতিহাস হ্যারি কেনের অভিষেকে। শুরুতে প্রতিভার মুল্যায়ন হয়নি তার। আর্সেনাল, টোটেনহ্যাম এবং ওয়াটফোর্ডে শুরুতে মুল্যায়িত হননি কেন। অবশেষে টোটেনহ্যাম অনুধাবন করল গোল করার দক্ষতা রয়েছে কেনের মধ্যে। এর আগে অবশ্য তাকে ধারে খেলতে পাঠিয়েছিল লেইটন ওরিয়েন্ট, মিলবাল, নরউইচ ও লিস্টারে। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে প্রিমিয়ার লীগে তাকে স্থায়ী আসন দেয় স্পর্সরা। ২৫ বছর বয়সি কেন এখন পৌছে গেছে ক্লাবটির গোল রেকর্ডে। ক্লাবটির হয়ে শতাধিক গোল করা এই তারকা এখন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্ট্রাইকার, যিনি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি লাভ করেছেন।
চলতি মৌসুমে স্পার্সদের হয়ে এখনো পর্যন্ত ১১টি গোল করেছেন কেন। পিএসভি এন্দোভানের বিপক্ষে তার দেয়া জোড়া গোলে ভর করে জয়লাভ করেছে স্পার্সরা। ২-১ গোলের ওই জয়ের ফলে গ্রুপ থেকে শেষ ষোলতে পৌছানোর সুযোগ বাঁচিয়ে রেখেছে টোটেনহ্যাম। ওই দুই গোলে চ্যম্পিয়ন্স লীগে ১৪ ম্যাচ থেকে ১২ গোল করার বিরল রেকর্ডের দিকে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছেন কেন।
ইউরোপের অভিজাত ক্লাবের এই টুর্নামেন্টে ইকার্ডিও নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন প্রতি নিয়ত। লিভারপুলের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে তার বিলম্বিত গোলেই ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইন্টারমিলান। আর্জেন্টিনার এই আন্তর্জাতিক তারকার গোলেই পিএসভি’র বিপক্ষে জয় পেয়েছির ইতালীয় জায়ান্টরা। চলতি মাসের শুরুতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে তিনিই সমতাসুচক গোলটি করেছেন। ফলে ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে। ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ পয়েন্ট ধারী বার্সার বিপক্ষে ওই ড্রয়ের সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে পৌছেছে ইন্টার। লিভারপুলের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে তারা। যে কারণে লুসিয়ানো স্পালেত্তির দলটি নক আউট পর্বের জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা আথিথেয়তা দিবে পিএসভিকে। অপরদিকে ওই পর্বে পৌছাতে হলে শক্তিাশালী বার্সেলোনার বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে টোটেনহ্যামকে।
তবে আগামীকাল ওয়েম্বলিতে টোটেনহ্যামকে হারাতে পারলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে ইন্টারের। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে হলেও ওই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প পথ নেই স্পার্সদের সামনে।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৯৩০/মোজা/স্বব