বাজিস-৩ : ভোলায় ১ লাখ ২০ হাজার মে: টন সবজি উৎপাদনের সম্ভাবনা

334

বাজিস-৩
ভোলা-শীতকালীন-সবজি
ভোলায় ১ লাখ ২০ হাজার মে: টন সবজি উৎপাদনের সম্ভাবনা
ভোলা, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : চলতি শীত মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মে:টন শীতকালীন সবজি’র উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গতবছর জেলায় সবজি উৎপাদন হয়েছিলো ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৮ মে:টন। এছাড়া জেলার ৭ উপজেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলায় অক্টোবরের শেষ দিকে সবজির আবাদ শুরু হয়। প্রকৃতিগত ভাবেই এখানে একটু দেরিতে ফলন হয়। কারণ এখানে বছরের শেষ দিকেও বৃষ্টিপাত হয়। ফলে পানি নামতে দেরি ও জমিন শুকাতে সময় লাগে। তবে দেরিতে আবাদ হলেও জমি উর্বর হওয়ায় ফলন ভালো হয়। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সবজির আবাদ চলবে । শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অবশ্যই সবজির ফলন ভালো হবে বলে জানান তারা।
সূত্র জানায়, জেলায় মোট সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ মে:টন করে। আর সবজি চাষ হবে মিষ্টি কুমরা ৮৮০ হেক্টর, লাউ ৬৫০ হেক্টর, শিম ১ হাজার ৩৫ হেক্টর, লাল শাক ৬০০ হেক্টর, পালং শাক ৪০০ হেক্টর, ওল কপি ১১৫ হেক্টর, গাজর ৭৫ হেক্টর, মূলা ৬৫০ হেক্টর, বরবটি ৫২৫ হেক্টর, ঢেরশ ৪০৯, ধুন্দল ২০০, টমেটো ৬০০, ফুল কপি ২৫০ ও বাধা কপি ৩৫০ হেক্টর আবাদ করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য প্রচুর ডিএপই সার প্রয়োজন হয়। আমাদের কাছে তার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কাজেই কৃষকদের কোন সমস্যা হবেনা। তিনি বলেন, সবজি আবাদের পর কাটুই পোকা নামে রোগের আক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে। এ রোগ প্রতিহত করার জন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। যদি আর বৃষ্টিপাত না হয় তবে এখানে শীতকালীন সবজির ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাসস/এইচ এ এম/কেইউ/১১১৯/নূসী