তথ্য প্রযুক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল বিবেচিত হচ্ছে : মোস্তাফা জব্বার

573

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী নির্দেশনায় এটা সম্ভব হয়েছে। এভাবেই একদিন আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবো।’
মন্ত্রী আজ কারওয়ান বাজার বেসিস’র সভাকক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এশিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলে আইসিটি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি এবং অ্যাসোসিও’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি “অ্যাসোসিও” এর সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার ‘দ্য অ্যাসোসিও অনারারি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করায় বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফট্ওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) তাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করে।
অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড হচ্ছে আইসিটি খাতের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, উপদেষ্টা শেখ আবদুল আজিজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান।
এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন গত ৮ নভেম্বর জাপানের টোকিওর এনা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০১৮’ অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও’র বর্তমান চেয়ারম্যান ডেভিট ওয়াং কাফির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন।
অ্যাসোসিও প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ ৩৫ বছরে এই সর্বোচ্চ সন্মাননা পুরস্কর পেয়েছেন মাত্র ৩ জন প্রযুক্তিবিদ তারা হলেন কোরিয়ার ড.ওয়াই টি লি, তাইওয়ান এর রিচার্ড ইন, মালয়েশিয়ার হেরিস টান। আব্দুল্লাহ এইচ কাফি হলেন এই সর্বোচ্চ সন্মাননা পুরস্কার বিজয়ী চতুর্থ ব্যক্তি। এছাড়াও এবারের ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০১৮’ তে চারটি বিভাগে সম্মাননা পেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ দেশের চার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরকে তুলে ধরতে আইটি ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ এইচ কাফি নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ট্রেডবডি গুলোর সাথে বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ।
মন্ত্রী বলেন, গুণিজনদের সম্মানিত করা নৈতিক দায়িত্ব। গুণিজনদের সম্মানিত করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃজনশীল কাজে আরও অনুপ্রাণিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন অ্যাসোসিও থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন নিঃসন্দেহে দেশের জন্য গৌরবের।
অ্যাসোসিও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান এবং অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অ্যাসোসিও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ প্রদান করে। এছাড়া আইসিটি সেক্টরে অনন্য অবদান রাখায় বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে আজীবন এসোসিও সম্মাননা প্রদান করে। মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহতীর মোহাম্মদ ১৯৯৮ সালে এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চিংওয়াক্তা ২০০৪ সালে অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
পরে মন্ত্রী কাফিকে বেসিসের পক্ষ থেকে ‘টোকেন অব এপ্রোসিয়েশন’ প্রদান করেন।