বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : টেকসই শিল্পায়ন ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে রপ্তানি ট্রফি প্রদান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে : রাষ্ট্রপতি

196

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-রপ্তানি ট্রফি
টেকসই শিল্পায়ন ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে রপ্তানি ট্রফি প্রদান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই শিল্পায়নের প্রসার ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে রপ্তানিকারকদের সম্মাননা ও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আগামীকাল ২৫ নভেম্বর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদানের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ‘রপ্তানিকারকরা তাদের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত রপ্তানিকারকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। নতুন প্রেক্ষাপটে সম্ভাবনার সাথে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এসব সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় রেখে বর্তমান সরকার দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, জাতীয় মহাসড়কগুলোকে ক্রমান্বয়ে চার লেনে উন্নীতকরণসহ সারাদেশে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। একই সাথে সরকার রপ্তানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণে শিল্পকারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি মালিক-শ্রমিক সকলের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
আবদুল হামিদ বলেন, দক্ষ শ্রমশক্তি শিল্পের প্রাণ। রপ্তানিকারক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে শিল্পে নিয়োজিত জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মান উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, বর্তমান বাজারকে সংহত করা এবং নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে। এভাবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সফলতা প্রত্যাশা করেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৮০০/-কেকে