গুলেন আন্দোলনের ৮৪ সদস্যকে দেশে ফেরত পাঠানের অনুরোধ তুরস্কের

240

ওয়াশিংটন, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু ফেতুল্লাহ গুলেন আন্দোলনের ৮৪ সদস্যের একটি নামের তালিকা মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে দিয়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। এই তালিকায় গুলেনের নামও রয়েছে। খবর এএফপি’র।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের জন্য গুলেনকে দায়ী করেন। গুলেনকে তিনি এক সময় মিত্র হিসেবে বিবেচনা করতেন। এ ধর্মীয় নেতাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বারবার আহবান জানালো হলেও এ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।
তুরস্কের প্রধান কূটনীতিক জানান, ওয়াশিংটন সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তিনি কোন ‘আশ্বাস’ পাননি।
কাভুসোগ্লু বলেন, ‘তবে আমরা এসব লোকের তালিকা দিয়েছি এবং তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এরদোগানকে এ তালিকা পাঠানোর কথা বলায় আমি পম্পেও ও দূত বোল্টন উভয়ের কাছে তালিকাটি দিয়েছে।’
এদিকে শনিবার ট্রাম্প বলেন, গুলেনকে ফেরত পাঠানোর তার কোন পরিকল্পনা নেই। কেননা, গুলেন তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থানে কোনভাবে তার জড়িত থাকার কথা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও আমেরিকান যাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনকে গত অক্টোবরে আঙ্কারা মুক্তি দেয়ায় এ দু’দেশের কিছুটা উন্নতি ঘটে।
ফলে গুলেনের ভাগ্য এ দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুর ওপর নির্ভর করছে।
এনবিসি নিউজ জানায়, সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যা বিষয়ে সৌদি আরবের ওপর তুরস্কের চাপ কমানোর লক্ষ্যে হোয়াইট হাউস গুলেনকে ফেরত পাঠানোর উপায়ের কথা বিবেচনা করছে। ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভিতরে খাসোগি নিহত হন।