সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে

673

ঢাকা, ১৯ মে ২০১৮ (বাসস) : আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে হাতিয়া উপজেলার ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল আজ বাসসকে এই কথা জানান।
তিনি বলেন, মায়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয় নেয়া এক লাখ নাগরিকের জন্য আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। আগামী আগস্টের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদেরকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে। বর্তমানে নিবন্ধিত ১১ লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করছেন বলে তিনি জানান।
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, আজ শনিবার উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্যোগকালীন করনীয় বিষয়ে এক মহড়ার প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রাণ সচিব শাহ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দুর্যোগকালে কিভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয় তা শিখানোর জন্য এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাগরিকদেরও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
দমকল বাহিনীর উদ্যোগে এই মহড়া অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে মেঘনা নদীপথ পার হলেই ভাসান চরের অবস্থান। বর্তমানে ওই চরটির আয়তন প্রায় ১৩ হাজার একরের বেশি। এছাড়া দ্বীপটির চতুর্দিকে প্রতি বছর গড়ে ৩৫/৪০ বর্গকিলোমিটার ভূমি জেগে উঠছে বলে এলাকাবাসী জানান।
ভাসান চরের পূর্বদিকে সন্দ্বীপ উপজেলা। হাতিয়া মূল ভূখন্ড থেকে ট্রলারযোগে ভাসান চর যেতে সময় লাগে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা। কয়েক বছর আগে স্থানীয় বন বিভাগ এখানে বনায়ন শুরু করে। ফলে ভাসান চরে বিভিন্ন অংশে গাছ-গাছালিতে ভরে গেছে।
এই চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ হিসেবে চরের চতুর্দিকে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এছাড়া সড়ক ও অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে হবে। আগামী দুই বছরে এখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়।