নীতিমালা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হলে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল : ইসি সচিব

266

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নীতিমালার বাইরে গিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘নীতিমালার বাইরে গিয়ে কিংবা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হলে সেই সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা পর্যবেক্ষক হবেন তারা শুধু ভোটকেন্দ্রে কোন অনিয়ম হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন, তিনি তার লিখিত রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জমা দিবেন। কোন মিডিয়ার সাথে নির্বাচন বিরোধী বিরূপ মন্তব্য বা কথা বলতে পারবেন না। ছবি তুলতে পারবেন না, গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, ‘লিখিত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে কোন মন্তব্য করবেন না। আপনারাও যখন কম্পাইল করে জমা দেবেন, তার আগে কোন মন্তব্য করবেন না। রিপোর্ট কম্পাইল হলে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন এবং আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন। পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি ও সংস্থার আচরণ হবে নিরপেক্ষ। এমন কোন ব্যক্তিকে আপনারা নিয়োগ করবেন না, যে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। এগুলো আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, একটি ভোটকেন্দ্রে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে, একটি পুলিশের ইনচার্জ আপরটি প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবহার করবেন।
সবদলের অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচন অনেক বৈশিষ্টপূর্ণ উল্লেখ করে সচিব বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এবারের নির্বাচনে সংসদ বহাল থাকবে, সরকার থাকছে এবং সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের নিয়োগ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, একটি সেন্টারে অনেকগুলো সংস্থার লোক থাকবে। পোলিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যম থাকবে। এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখে পর্যবেক্ষকদের কাজ করতে হবে। পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের দেয়া পরিচয়পত্র সার্বক্ষণিক গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। যাতে যে কেউ বুঝতে পারেন যে, আপনি একজন পর্যবেক্ষক। প্রথমে কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে তার পরিচয় দিতে হবে।
তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণের সময় গোপন কক্ষে যাওয়া যাবে না, কাউকে নির্দেশনা দিতে পারবে না, প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারকে কোন পরামর্শ দিতে পারবে না। যদি কোন কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, এটা তারা কমিশনকে অবহিত করতে পারেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮ সংস্থার প্রতিনিধিরা সারাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবে।
অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানে সভাপতিত্ব যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান ও এ এস এম আসাদুজ্জামানসহ ইসি সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।