বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : মাদার অব হিউম্যানিটি পদক নীতিমালা-২০১৮’র খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা

305

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা-কেবিনেট-মাদার অব হিউম্যানিটি
মাদার অব হিউম্যানিটি পদক নীতিমালা-২০১৮’র খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ‘মাদার অব হিউম্যানিটি পদক নীতিমালা-২০১৮’র খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর জাতীয় সমাজকল্যাণ দিবসে যোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদকে ভূষিত করবে।
আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজকল্যাণ দিবসে প্রতিবন্ধী, বয়ঃবৃদ্ধসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মানবতার মা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোঝানো হয়েছে। যিনি তাঁর মানবতাবাদী ভূমিকা এবং সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করায় বিশ্বব্যাপী এ অভিধায় ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামের পরিবর্তে এ পুরস্কারের জন্য ’মাদার অব হিউম্যানিটি’ নামটিকেই পছন্দ করেছেন।
এই নীতিমালায় প্রতিবছর ৫টি সেক্টরে ৫ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এসব পদক দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এই পুরস্কার অন্যান্য জাতীয় পুরস্কারের সমমানের হবে। মনোনীত ব্যক্তিদের ২৫ গ্রাম স্বর্ণপদকের পাশাপাশি, একটি পদক, ২ লাখ টাকা এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
দু’টি কমিটি পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা প্রণয়ন করবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এবং পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করবে।
সভায় তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ইনফো-গভঃ প্রকল্প ৩য় পর্যায়’কে জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদান, টেকসই ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন, স্থানান্তর, পরিচালনা এবং রাজস্ব শেয়ারিং সংক্রান্ত বিষয় থাকবে।
বাসস/একেএইচ/অনুবাদ-এফএন/১৯২০/-আরজি