তারেক রহমানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি আওয়ামী লীগের দাবি

676

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে তারেক রহমানের কথা বলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দাখিল করার পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ফারুক খান বলেন, ‘একজন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলছেন। এটি নির্বাচনী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে- তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কোনো প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। সুতরাং তারেকের এই কাজ সর্বোচ্চ আদালতে আদেশ লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননার সামিল। এর ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এজন্য আমাদের লিখিত অভিযোগগুলো কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি। আশা করি তারা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।’
তিনি বলেন, শনিবার ঐক্যফ্রন্টের নামে বিএনপি জামাত সুপ্রিম কোর্টের মত একটি জায়গায় বসে সারাদিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। সেখানে এমন কিছু কথাবার্তা বলা হয়েছে যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই লঙ্ঘনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এসব যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাচন আরো প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘তারেক রহমান টেলি কলফারেন্সের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন। এটা গণমাধ্যমে এসেছে। তিনি এ মুহূর্তে একজন পলাতক ও দন্ডিত ব্যক্তি। রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না। যেহেতু উচ্চ আলাদলের সুনির্দিষ্ট আদেশ আছে তাকে ঘিরে কোনো ধরনের লাইভ স্টিমিং, ব্রডকাষ্টিং, কনফারেন্স ইত্যাদি দেখানো যাবে না। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি আদালতের নির্দেশনা, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী আইনও লঙ্ঘন করেছেন। বিএনপি যে কাজটি করছেন একজন দন্ডিত আসামীর মাধ্যমে সাক্ষাতকার গ্রহণ শুধুমাত্র অবৈধই নয়, অনৈতিকও বটে।’
নির্বাচনের সময় ‘হাসিনা : অ্যা ডটার’স টেল’ সিনেমা মুক্তির বিষয়টি নির্বাচনী আইন ভঙ্গ কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, এটি বিনোদনমূলক। মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এটি দেখছে। এখানে কোনো নির্বাচনী প্রচারণার বিষয় নেই।