বাজিস-১ : চাঁদপুরে রবি মৌসুমে শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮ হাজার মে.টন

305

বাজিস-১
চাঁদপুর-শাক সবজি
চাঁদপুরে রবি মৌসুমে শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮ হাজার মে.টন
চাঁদপুর, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় এ বছর শাক-সবজির চাষাবাদ হচ্ছে ৫ হাজার ২১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৯ মে.টন। চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। এ অঞ্চলে শাক-শবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। বিশেষ করে চাঁদপুরের ১১ টি চরাঞ্চলে এ শাক-সবজি ব্যাপকভাবে চরবাসীরা চাষাবাদ করে থাকে।
এছাড়া ও চাঁদপুর সদরের কুমারডুগি,মহামায়া, দেবপুর, মাস্টার বাজার, ছোট সুন্দরদিয়া, বড় সুন্দরদিয়া এলাকায় ব্যাপকহারে ও বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা এসব শাক-সবজির চাষাবাদ করে থাকে ।
ইশানবালা চরের সরুফা খাতুন জানান, নারীরাই এসব শাক-সবজি উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে । মেঘনা অববাহিকায় ও চরাঞ্চলে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অগ্রণীভূমিকা পালন করে আসছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দিন রাত পরিশ্রম করে শাক-সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত থাকে । কোনো কোনো এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে তারা ব্যাপক হারে শাক-সবজির চাষাবাদ করে আসছে ।
তাদের জীবিকার প্রধান বাহন কৃষি, সবজি চাষাবাদ ও হাঁস, মুরগি ইত্যাদি গবাদি পশু প্রতিপালন ।
চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন সরিষা, মরিচের পরেই শাক-সবজির স্থান। এটি এখন বেশ লাভজনক। এ বছর চাঁদপুরে ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৯ মে. টন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার ২১০ হেক্টর ।
চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলো হলো- মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর,জাহাজমারা, লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর,মাঝিরবাজার, সাহেব বাজার ও চরভৈরবির বাবুরচর ইত্যাদি।
চাঁদপুর সদরের মহামায়ার ইদ্রীস সওদাগর জানান, আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা, কৃষকদের শাক-সবজি চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষিরা ব্যাপক হারে শাক-সবজির চাষ করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, চাঁদপুরে উৎপাদিত শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে–ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, লালশাক, লাউ, কুমড়া, শিম, মুলা,গাঁজর, খিরা, টমেটো,করলা, পালং শাক,ধনিয়া, বরবটি ইত্যাদি।
তিনি জানান, চাঁদপুর সদরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৫১৮ মে.টন।মতলব উত্তরে চাষাবাদ ৯৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৮০৮ মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ২৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৬২৯ মে.টন।
হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৬১৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮২৩ মে.টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ৩৯৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ২৩৬ মে.টন। কচুয়ায় চাষাবাদ ৪১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৪৯ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৭৮০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৬৩ মে.টন। হাইমচরে চাষাবাদ ৭১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮০৩ মে.টন।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১০০৫/নূসী