চাঁদপুরে ইরি-বোরো চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা আড়াই লাখ মে. টন

398

চাঁদপুর, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এবার ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আড়াই লাখ মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কমবেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে ।
তবে চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি -বোরোর চাষাবাদ হয়। জেলার তফসিলি ব্যাংকগুলোতে কৃষি উৎপাদনের জন্যে চলতি অর্থবছর ২২৪ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে চাঁদপুরের ব্যাংক সূত্রে জানা যায়।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ২৪৭ মে.টন।
জেলা কৃষি বিভাগের সহকারি কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান জানান, চাঁদপুর সদরে ৫ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২১ হাজার ৭০৮ মে.টন। মতলব উত্তরে ৮ হাজার ৮০০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৬ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৯ হাজার ৯৮ মে.টন। হাজীগঞ্জে ৯ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৮০২ মে.টন।
শাহারাস্তিতে ৯ হাজার ৩৫১ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৯৪ মে.টন। কচুয়ায় ১২ হাজার ৬০০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৯ হাজার ৫৫০ মে.টন।
ফরিদগঞ্জে ৯ হাজার ৯ শত ২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৪০ ১ মে.টন এবং হাইমচরে ৬২৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৩৯৬ মে.টন চাল।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলি আহমেদ জানান, কৃষকরা এতিমধ্যেই বিভিন্ন রবি ফসলের মাঠ তেরি করা সম্পন্ন করেছে। তার পরেই ইরি বোরো চাষাবাদের মাঠ তৈরি করবে। সরকার ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চাঁদপুরের চাষীদের সার ও উন্নতমানের বীজ দিয়ে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে। বিদ্যুৎতের ক্ষেত্রে ২০% ভর্তূকি দিচ্ছে ।
তিনি আরো জানান, কৃষকরা বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, বিদ্যুৎ চালিত স্যালো বা ডিপ নলকূপ দিয়ে পানি সেচ, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার,সারিবদ্ধ ভাবে ধান রোপণ,উন্নত বীজ ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার,নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।