বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড নিয়ে নাটক ‘রক্তঋণ’ মঞ্চন্থ হলো

371

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনাপ্রবাহ এবং এ ঘটনার পরবর্তী নানা তথ্য নিয়ে নাটক ‘রক্তঋণ’ মঞ্চস্থ হয়েছে।
নাটকে উঠেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা মিথ্যচার এবং বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে মুছে ফেলবার নানা ঘটনা প্রবাহ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গতকাল রাতে ‘রক্তঋণ’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। তীরন্দাজ নাট্যদলের পঞ্চম প্রযোজনা এই নাটকটি রচনা করেন শাহীন রেজা রাসেল এবং নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী রাকিব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সংস্কৃতিক বিয়ষক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে ঘাতকরা চেয়েছিল তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে এবং দেশকে আবারও পাকিস্তানী কায়দায় পরিচালনা করতে। কিন্তু খুনীদের এই জঘন্য মানস টিকেনি। ঘাতদের বিচার হয়েছে। জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব আরও শক্তিশালী হয়ে বাংলার বুকে টিকে আছেন এবং থাকবেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জোর করে ক্ষমতায় বসা খুনীচক্র বঙ্গবন্ধুর অবদানকে মুছে ফেলার জন্য জাতিঘাতি নানা অপকর্ম শুরু করে। এ সব ঘটনা বর্তমান প্রজন্ম এই নাটকের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এই সব অপকর্ম ইতিাহসে কাল অধ্যায় হিসেবে স্থান পেয়েছে। দেশবাসী সংস্কৃতি কর্মে এ সব ঘটনা জানার সুযোগ পাবেন নাটকটিতে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, নাট্যজন জনাব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নাট্যজন ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ।
নাটকে অভিনয় করেন সানজিদা প্রমি, এনামুল রিপন, হাসান মাহাদি লাল্টু, জাহিদ মোহাম্মদ, তামান্না তমা, শাহীন রেজা রাসেল, সাব্বির হাসান, মারুফ বিল্লাহ মুন্না, রাফিকুল সেলিম, আহমেদ শাওন, নুসরাত তিথি, মোস্তফা কামাল, অমিতাভ রাজীব, মহিউদ্দিন রোমান, কাজী রাকীব, সৌরভ আহমেদ ও সোলায়মান মামুন ।
নাটকে উঠে এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নৃশংস হত্যাকান্ড, হত্যাকান্ড পরবর্তী নানা ষড়যন্ত্র, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার নিয়ে ঘাতকদের ছড়ানো মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ প্রপাগান্ডা, সারাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদী নানা কর্মকান্ড।
এ ছাড়াও নাটকে এসেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পর কর্নেল জামিল প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথম শহীদ হওয়ার ঘটনা। গারো পাহাড়ের পাদদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সশস্ত্র প্রতিবাদী আন্দোলন, প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম নির্যাতন, সারাদেশে প্রতিবাদকরী ৫০০ শতাধিক মানুষকে হত্যার ঘটনা, প্রতিবাদকারীদের ৫০০০ বাড়িঘর ধ্বংস করার চিত্রামলা নাটকে স্থান পেয়েছে।