বাসস দেশ-১০ : বিএনপি বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করা ভুল ছিল : তোফায়েল আহমেদ

160

বাসস দেশ-১০
তোফায়েল-উদ্বোধন-অনুষ্ঠান
বিএনপি বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করা ভুল ছিল : তোফায়েল আহমেদ
ঢাকা, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করা ভুল ছিল। সে সময় পুলিশ, নির্বাচনে কর্মরত কর্মকর্তা হত্যা, ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, সাধারণ মানুষ হত্যা করে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছিল।
আজ ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘রেডকার্পেট ৩৬৫ লিমিটেড’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্ট এন্ড টেক্সটাইলস, প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং মেশিনারী, ডাইস, পিগমেন্টস ও কেমিক্যাল, ইয়ান ও ফেব্রিক এর উপর ৪টি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বুধবার বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের উপর আক্রমন করা হয়েছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের এ কাজ কেউ প্রত্যাশা করেনি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। আমরা এখন শুধু মন্ত্রণালয়ের রুটিন মাফিক কাজগুলো করছি। নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের মতো কোন কাজ করছি না। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারণ করেছে। আর পিছানো ঠিক হবে না। দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য সবকিছুই সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের তৈরী পোশাক শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক এখন দেশে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে, ইতোমধ্যে ৭৫টি ফ্যাকটরিকে গ্রীণ ফ্যাকরির সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, আরো ২৮০টি ফ্যাক্টরি গ্রীণ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীণ বিল্ডং কাউন্সিল বিশে^র মধ্যে ১০টি তৈরী পোশাক ফ্যাক্টরিকে গ্রীণ ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট প্রদান করেছে, এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়সহ ৭টি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানা। এ শিল্পে দেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে ৩০.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ বছর ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখন বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আশা করা যায়, এবছর ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরী পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ১৯ ভাগ এবং নতুন বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ৪০ ভাগ।
প্রদর্শনীতে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ ১২টি দেশের প্রতিষ্ঠান তৈরী পোশাকের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও টেকনোরজি প্রদর্শন করছে। আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গ্রীসের অনারারী কনসুল জেনারেল এবং বিজিএমই-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিকেএমই-এর ফার্ষ্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ পেপার মিলস এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুহা. আইয়ুব, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/এমএন/১৭২০/জেহক