নওগাঁয় রবি মৌসুমে ২১ হাজার ৮শ ২৫ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

466

নওগাঁ, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নওগাঁয় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বিভিন্ন রবি ফসলের জন্য সরকারিভাবে ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৮ হাজার ৫০ টাকা মুল্যের কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, তিল, মুগ ডাল, বিটি বেগুন ও বোরো ধান চাষীদের এই প্রণোদনা দেয়া হয়। জেলার ১১টি উপজেলার মোট ২১ হাজার ৮শ ২৫ জন কৃষকদের মধ্যে এমওপি সার, ডি এ পি সার এবং বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানিয়েছেন, এ মওসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় ৬ হাজার ২শ জন গম চাষী, ৪ হাজার ২শ জন ভুট্টা চাষী, ৭ হাজার ৫শ জন সরিষা চাষী, ৭শ জন তিল চাষী, ২ হাজার জন মুগডাল চাষী, ২৫ জন বিটি বেগুন চাষী এবং ১ হাজার ২শ জন বোরো চাষী প্রত্যেককে প্রতিটি ফসলের বিপরীতে ১ বিঘা জমির জন্য এই প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক চাষীকে প্রতিবিঘা জমির জন্য ১০ কেজি করে এমওপি ও ২০ কেজি করে ডি এ পি সার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতি বিঘায় গম বীজ ২০ কেজি, বোরো বীজ ১০ কেজি, সরিষা বীজ ১ কেজি, তিল বীজ ১ কেজি, মুগডাল ৫ কেজি, বিটি বেগুন ২০ গ্রাম এবং ভুট্টাবীজ ২ কেজি করে প্রদান করা হয়।
উপজেলা ভিত্তিক প্রণোদনা প্রাপ্ত কৃষকদের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২০০ জন গমচাষী, ৩০০ জন ভুট্টাচাষী, ৭০০ জন সরিষাচাষী, ৮০ জন তিলচাষী, ৩ জন সিটি বেগুনচ্ষাী ও ১১০ জন বোরোচাষী, রানীনগর উপজেলায় ১৪০ জন গমচাষী, ৪০০ জন ভুট্টাচাষী, ৬৫০ জন সরিষাচাষী, ২০ জন তিলচাষী, ১৫০ জন মুগডালচাষী, ৩ জন সিটি বেগুনচাষী ও ১৩৫ জন বোরোচাষী, আত্রাই উপজেলায় ১০০ জন গমচাষী, ১২৫০ জন ভুট্টাচাষী, ৪০০ জন সরিষাচাষী, ১৫ জন তিলচাষী, ১০ জন মুগডালচাষী ২ জন সিটি বেগুনচাষী ও ১০০ জন বোরাচাষী, বদলগাছি উপজেলায় ৩০০ জন গমচাষী, ৩০০ জন ভুট্টাচাষী, ৪০০ জন সরিষাচাষী, ৬০ জন তিলচাষী, ৪০০ জন মুগডাল চাষী, ২ জন বিটি বেগুনচাষী ও ১১০ জন বোরোচাষী, মহাদেবপুর উপজেলায় ২০০ জন গমচাষী, ৩০০ জন ভুট্টাচাষী, ৬০০ জন সরিষাচাষী, ৫০ জন তিলচাষী, ১০০ জন মুগডালচাষী, ২ জন বিটি বেগুনচাষী ও ১৭৫ জন বোরোচাষী, পতœীতলা উপজেলায় ৩৭০ জন গমচাষী, ২৫০ জন ভুট্টাচাষী, ৭০০ জন সরিষা চাষী, ১০ জন তিলচাষী, ১০০ জন মুগডালচাষী, ২ জন বিটি বেগুনচাষী ও ১০০ জন বোরোচাষী, ধামইরহাট উপজেলায় ৩৭০ জন গমচাষী, ৩০০ জন ভুট্টাচাষী, ৭০০ জন সরিষাচাষী, ১০ জন তলিচাষী, ২০০ জন মুগডালচাষী, ২ জন বিটিবেগুনচ্ষাী ও ১০০ জন বোরোচাষী, সাপাহার উপজেলায় ১৯০০ জন গমচাষী, ১০০ জন ভুট্টাচাষী, ৮০০ জন সরিষাচাষী, ২৫০ জন মুগডালচাষী, ২ জন বিটি বেগুনচাষী ও ৩০ জন বোরোচাষী, পোরশা উপজেলায় ১২০০ জন গমচাষী, ১০০ জন ভুট্টাচাষী, ৬০০ জন সরিষাচাষী, ১৫০ জন মুগডালচাষী, ২ জন বিটিবেগুন চাষী ও ৫০ জন বোরোচাষী, মান্দা উপজেলায় ৬২০ জন গমচাষী, ৬০০ জন ভুট্টাচাষী, ১১০০ জন সরিষাচাষী, ৪৪৫ জন তিলচাষী, ৩৪০ জন মুগডালচাষী, ৩ জন বিটি বেগুনচাষী ও ১২৫ জন বোরোচাষী এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮০০ জন গমচাষী, ৩০০ম জন ভুট্টাচাষী, ৮৫০ জন সরিষাচাষী, ১০ জন তিলচাষী, ৫০ জন মুগডালচাষী, ২ জন বিটি বেগুনচাষী এবং ১৩৫ জন বোরোচাষী।
মোট ২১ হাজার ৮শ ২৫ জন কৃষকের অনুকূলে ২১ হাজার ৮শ ২৫ বিঘা জমির জন্য বিঘা প্রতি ১০ কেজি হারে মোট ২ লাখ ১৮ হাজার ২শ ৫০ কেজি এমওপি’র মোট মুল্য ৩২ লাখ ৭৩ হাজার ৭শ ৫০ টাকা, বিঘা প্রতি ২০ কেজি হারে মোট ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ কেজি ডিএপি’র মুল্য ১ কোটি ৯ লাখ ১২ হাজার ৫শ টাকা, প্রতি বিঘায় ২০ কেজি করে মোট ৬২০০ বিঘা জমির জন্য ১ লাখ ২৪ হাজার কেজি গম বীজের মুল্য ৭৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, প্রতি বিঘায় ২ কেজি করে ৪২০০ বিঘার জন্য ৮৪০০ কেজি ভুট্টাবীজের মুল্য ২৫ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকা, প্রতি বিঘায় ১ কেজি করে ৭৫০০ বিঘার জন্য ৭৫০০ কেজি সরিষাবীজের মুল্য ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, প্রতি বিঘায় ১ কেজি করে মোট ৭০০ বিঘায় ৭০০ কেজি তিলবীজের মুল্য ৬৫ হাজার ৮শ টাকা, প্রতি বিঘায় ৫ কেজি করে ২০০০ বিঘায় মোট ১০ হাজার কেজি মুগ বীজের মুল্য ১১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, প্রতি বিঘায় ১০ কেজি করে মোট ১২০০ বিঘা জমির জন্য ১২০০০ কেজি বোরো বীজের মুল্য ৬ লক্ষ্য ৯৬ হাজার টাকা।