বাজিস-৬ : শেরপুরে ২ হাজার ৭৬০ কৃষককে কৃষি প্রণোদনা

165

বাজিস-৬
শেরপুর-কৃষি প্রণোদনা
শেরপুরে ২ হাজার ৭৬০ কৃষককে কৃষি প্রণোদনা
শেরপুর, ১১ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় রবি মৌসুমে সরিষা, ভুট্টা, বিটি বেগুন এবং উচ্চ ফলনশীল বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ হাজার ৭৬০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া এ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার প্রত্যেককে এক বিঘা জমি আবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার প্রদান করা হয়।
শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে রোববার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ প্রণোদনা কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার ছাড়াও এক হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ভুট্টাবীজ, ৯০০ জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ জন কৃষককে বিটি বেগুন আবাদের জন্য ১০ গ্রাম করে বীজ, ৬৫০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে বোরো বীজ এবং ২০০ কৃষককে ৫ কেজি করে গ্রীষ্মকালীন মুগ ডালবীজ প্রদান করা হয়।
প্রণোদনার বীজ-সার পেয়ে কৃষকরা দারুণ খুশি। তারা এসব বীজ-সার ব্যবহার করে ভালোভাবে আবাদ ফসল করবেন বলে জানিয়েছেন। গাজীরখামার গ্রামের কৃষক আজিজুল হক (৫২) বলেন, এ সার-বীজ পাইয়া খুব বালা অইছে। আমুন ধান কাইট্টা খেত পতিত আছিল। অহন সরিষা বুনার পামু। কামারের চর এলাকার কৃষক মো. মোজাম্মেল হোসেন (৫৭) বলেন, সরকার থাইক্কা এই ভুট্টার বীজ আর সার পাইয়া খুব উফুগার অইলো। পাঁচজন কইরা কৃষক মিল্লা আমরা একত্রে আবাদ করমু।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পিকন কুমার সাহা বলেন, আগ্রহী কৃষকদের মাঝেই এসব প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে তেল-ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাবে। এতে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ ছাড়াও কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
বাসস/সংবাদদাতা/রশিদ/১৩৩৫/নূসী