বাসস দেশ-২১ : তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের : এইচটি ইমাম

307

বাসস দেশ-২১
আওয়ামী লীগ-ইসি
তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের : এইচটি ইমাম
ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তারা যেদিন চাইবে সেদিনই তফসিল ঘোষণা করবে।
আজ বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সিডিউল অর্থাৎ তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার একমাত্র নির্বাচন কমিশনের। কবে, কখন, নির্বাচন হবে, কীভাবে হবে সেটি ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আমরা কোনো ক্রমেই বলব না এটি পিছিয়ে দিন বা এগিয়ে দিন। যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, আগামীকাল ৮ তারিখে তারা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করবে, আমরা বলেছি এ ব্যাপারে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’
এইচটি ইমাম বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট ও দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তাদের কেউই স্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে হেয় প্রতিপন্ন করেনি কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শনও করেননি। কিন্তু এর একমাত্র ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যার মধ্যে অনেক অনিবন্ধিত দলের নেতৃবৃন্দ ছিলেন। কেউ কেউ তর্জনী উচিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ভয়ভীতিও দেখিয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন যেভাবে অমার্জিত এবং কুরুচিপূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন তাতে জনগণ বিস্মিত ও হতবাক হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকলেই এটি ধিক্কার জানিয়েছে। আমরা সুষ্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই-বাংলাদেশে জনগণ নির্বাচন কমিশনের প্রতি এ ধরনের আচরণ সহ্য করবে না এবং এর জবাব দিবে ভোটের মাধ্যমে।’
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাছাইয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের নেয়ার দাবি জানিয়েছে উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, ৩০০ আসনের ভোটে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ছাড়াই প্রায় ৭ লাখ লোকবল দরকার পড়ে। এ বিশাল লোকবল নিয়োগে সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি- কোনোভাবেই বেসরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও কর্মকর্তাদের যেনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া না হয়। এ বিষয়ে কমিশন একমত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, বিদেশি ট্যুরিষ্ট ভিসায় আসা কেউ যেন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া না হয়, অনিবন্ধিত সংস্থার কেউ যেন নিয়োগ না পায়। নীতিমালা মেনেই যেন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
ইভিএমে ভোট দেয়া, সেনা মোতায়েন ও নারী-প্রতিবন্ধীদের জন্য ভোটের বিশেষ ব্যবস্থা রাখার পক্ষে আওয়ামী লীগের মত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগ কখনও কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেনি। বরং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠায় আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে কোন কথা হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ কখনও সেনবাহিনী মোতায়েনের বিপক্ষে নয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী যেভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েন হয় তার পক্ষেই আওয়ামী লীগ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশনের সাথে বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৯২৭/-আরজি