উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ চলছে

366

ঢাকা, ১৫ মে, ২০১৮ (বাসস) : ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এই নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর এবং ১০টি সংরক্ষিত আসনে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ জন।
এর আগে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৮জন। এর মধ্যে ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭ জন ছিল নারী ও ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৭১ জন ছিল পুরুষ ভোটার। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৮ জন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাসস’কে বলেন, এ পর্যন্ত কোথাও থেকে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। নগরীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
রোববার থেকে মাঠে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামানো হয়েছে। নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, এপিবিএন, সাড়ে ৪ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য, ৯শ’ অঙ্গীভুত আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি থাকবে র‌্যাবের ৩২টি টহল দল দায়িত্ব পালন করবে। যার প্রতিটি দলে ৮ জন সদস্য থাকবে। এছাড়া ৪টি স্টাইকিং ফোর্স টিম মাঠে থাকবে। এ টিমে ১০ জন করে রয়েছেন।
নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সিটি নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের লক্ষ্যে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা কেন্দ্রভিত্তিক নিজ নিজ অধীক্ষেত্রে দায়িত্বে রয়েছেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম রয়েছে। নির্বাচনে ৮টি মোটর সাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম থাকবে।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, ১০টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ইভিএম থাকবে।