সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বাড়ছে সূচক পাখি : পরিদর্শনে মুগ্ধ নাসার বিজ্ঞানীসহ আমেরিকান ৪ ফরেস্টার

348

হবিগঞ্জ, ১৩ মে, (বাসস) : জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বাড়ছে সূচক পাখি। শুমারীর মাধ্যমে বনে ১১টি সূচক পাখির এই তথ্য পাওয়া গেছে। সূচক পাখির পরিমাণ বাড়লে ধরে নেয়া হয় বনে উঁচু গাছ বেড়েছে। আরো প্রমাণিত হয় বনের ঘনত্ব বাড়ছে।
বিষয়টি জানতে এবং স্বচক্ষে পরিদর্শন করেছেন নাসার এক বিজ্ঞানীসহ আমেরিকান ফরেস্ট সার্ভিসের ৩ সদস্য। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন বাংলাদেশে আমেরিকান দূতাবাসের ১ কর্মকর্তা। তারা বন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি তারা বন রক্ষায় সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার করা, এর আয় বৃদ্ধি এবং বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরত্বারোপ করেছেন।
তারা সম্প্রতি সাতছড়ি উদ্যানে ইউএসএইড’র অর্থায়নে ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্ এন্ড লাইভীহুডস (ক্রেল) প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ এবং টিপড়াপাড়া কমিউনিটি পোট্রোল দলের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা পাখি শুমারীর কার্যক্রম সম্পর্কে সাতছড়ি উদ্যানের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন।
ক্রেল প্রকল্পের সাইট ফ্যাসিলিটেটর আব্দুল¬াহ আল মামুন জানান, পাখি শুমারী এবং বিভিন্ন সূচককে ঘিরে বনাঞ্চলের ঘনত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের পাখির উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন পরিদর্শনকারী দলটি। এছাড়াও সাতছড়ি সহ-ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির সক্ষমতার বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তারা বনে ট্রি অ্যাডভেঞ্চার চালু করার মত আরও উদ্ভাবনী প্রকল্পের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বনের প্রবেশ ফি বাড়িয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য প্রধান বন রক্ষককে পত্র দিতেও তারা পরামর্শ প্রদান করেন।
পরিদর্শন দলের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নাসার বিজ্ঞানী ন্যাথান থমাক, আমেরিকান ফরেস্ট সার্ভিসের কর্মকর্তা কলিন মেসটন, চিপস কট, হিথার হেইডেন, জাস্টিন ব্রিক ও বাংলাদেশে আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তা পেট্রিক ম্যায়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএসএনডিপির কর্মকর্তা শাহাদাত শাকিল, ক্রেল প্রকল্পের উত্তর পূর্ব অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী পলাশ সরকার, জিয়াউল হক, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানসহ ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ সত্যেন্দ চন্দ্র দেব, সদস্য সচিব মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম পাখি বিচরণ ক্ষেত্র। এখানে ২শ’র বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে পাখি দেখতে এবং ছবি তুলতে পর্যটকরা ছুটে আসেন এ উদ্যানে।