বাসস ক্রীড়া-১৭ : বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন আবু জায়েদ

300

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-সিলেট টেস্ট
বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন আবু জায়েদ
সিলেট, ৩ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : সিলেটের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৩৬ রান করেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। এই অবস্থায় প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন স্বাগতিক দলের পেসার আবু জায়েদ। প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন তিনি। এছাড়া জিম্বাবুয়েকে ৩২০ রানের মধ্যে আটকে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের বলে জানান আবু জায়েদ।
অভিষেক টেস্ট নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা সিলেটে। উত্তেজনার তালিকায় ছিলো টস লড়াইও। ছিলো, কি হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ। অবশেষে টস হেরে ফিল্ডিং-এ নামতে হয় বাংলাদেশকে। তাও এক পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় তারা। তবে দলে ছিলো তিন স্পিনার।
এক পেসারের দলে আছেন আবু জায়েদ। তিন স্পিনার ছিলেন- তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নাজমুল ইসলাম। তিন স্পিনারের সাথে বল হাতে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন আবু জায়েদও। ১৮ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি । বাকী তিন স্পিনার নিয়েছেন ৩ উইকেট। মিরাজ ছিলো উইকেটশুন্য।
তবে ম্যাচে এক পেসার নিয়ে খেলার কারণ কি, এমন প্রশ্ন করা হয় আবু জায়েদকে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটা আমার পার্ট না। ম্যানেজমেন্ট যেটা ভাল মনে করছে ওটাই করছে। ম্যানেজমেন্ট ভাল বুঝতে পারছে উইকেটটাতে আসলে ভাল পেস বোলিং হবে না। বেশ কিছু দিন থেকে কিন্তু সিলেটের উইকেট নিয়ে আমাদের সন্দেহ লাগছে কি হবে, না হবে। ২০১৩-১৪-তে সিলেটের উইকেট অনেক বাউন্সি ছিল। কিছু দিন ধরে, দুই বছর ধরে এমন হয়ে গেছে। এবার জাতীয় লিগেও আমরা তিন পেসার নিয়ে খেলেছি। দুই পেসার সাত, সাত করে ১৪ ওভার বল করেছে। তাই আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্ট যা ভাল মনে করছে সেটাই করছে।’
উইলিয়ামসের ৮৮ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ২৩৬ রানের বলার মত সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দিন শেষে বাংলাদেশই এগিয়ে বলে মনে করেন আবু জায়েদ, ‘অবশ্যই বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখব। কারণ এই উইকেটে প্রথমদিন তারা কম রানই করছে।’
দ্বিতীয় দিন যত দ্রুত সম্ভব জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দেয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। তবে সেটি কত? এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আবু জায়েদ বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের আর একটা উইকেট পড়লেই টেল এন্ডাররা চলে আসবে। আমার মনে হয় আমাদের লক্ষ্য থাকবে আগে এক উইকেট নেওয়া। সেটা হলে ওদের ৩২০ এর মধ্যে আটকে দিতে পারব। আমরা সেট করেছি যে ৩২০-এর ভেতর অলআউট করলে, এই উইকেট শেষের দিকে গিয়ে কিন্তু টার্ন করে। আমরা প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকতে পারলে , দ্বিতীয় ইনিংস মনে হয় না ওরা বেশি করতে পারবে।’
সিলেটের ছেলে আবু জায়েদ। সিলেটের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের দিন ঘরের মাঠে প্রথম উইকেটও পেলেন তিনি। তাই বেশ উচ্ছ্বসিত আবু জায়েদ, ‘অবশ্যই ভাল লাগছে। সিলেটে প্রথম টি-২০তে আমার অভিষেক, মাঠেরও অভিষেক ছিল। টেস্টেও হলো। আমি আনন্দিত। উইকেটেও পেয়ে আরো আনন্দিত। নাম লেখা থাকবে যে উইকেট পেয়েছি। চেষ্টা করব আরও ভাল করতে।’
সিলেটের স্মরণীয় ম্যাচ, তাই লোকাল বয় হিসেবে স্মরনীয় আবু জায়েদেরও। তার পরিবার থেকে কেউ মাঠে এসেছিলো কি-না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিপিএলের সময় আমার আম্মু এসেছিলেন। তখন আমার আম্মু বলছে, টিভিতে তোরে দেখতে পারি, মাঠে এসে তোকে খুঁজেই পাই না। আম্মু বলে, মাঠে আসব না টিভিতে দেখব। এত ঝামেলা নিতে পারব না। তাই বাসা থেকে কেউ আসেনি।’
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯২৫/মোজা/স্বব