বিএসএমএমইউ-এ হার্ট ফেইলিউর রোধে স্টেম সেল থেরাপি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে : উপাচার্য

353

ঢাকা, ৩ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ‘বর্তমানে হার্টের রোগ একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে পরিচিত। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগে ডিভিশন অব হার্ট ফেইলিউর, রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজির মাধ্যমে স্টেম সেল থেরাপি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
হার্ট ফেইলিউর বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। আজ দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর বি ব্লকে শহীদ ডা. মিলন হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান। এতে বক্তব্য রাখেন হার্ট ফেইলিউর ডিভিশন-এর প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, যুক্তরাজ্যের ডা. মনজুর শওকত, ডা. রেশম বড়–য়া, ডা. ইমানুয়েল অকো, ডা. আবি হোসাইনি প্রমুখসহ দেশি-বিদেশী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, হার্ট ফেইলিউর সংক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এই অঞ্চলে দিনে দিনে বেড়েই চলছে। এনসিডির গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিস স্টাডি ২০১৬ সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি বছর ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩৭০ জন লোক মারা যায় নন কমিউনিকেবল ডিজিসে। এরমধ্যে ১৭২ জন মারা যায় শুধুমাত্র হার্ট-এর রোগের কারণে। যাঁদের অধিকাংশেরই বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তাই বর্তমানে হার্টের রোগ একটি গ্লোবাল সমস্যা হিসেবে পরিচিত। এ সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। আশার কথা হলো,
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হার্টের বিভিন্ন কারণ যেমন- করোনারি আর্টারি ডিজিস, উচ্চ রক্তচাপ, কনজেনিটাল হার্ট ডিজসসহ ইনফেকশন, কিডনী ও লিভার ফেইলিউর, বিভিন্ন ড্রাগস যেমন কেমোথেরাপি ইত্যাদি কারণে হার্ট ফেইলিউর হয়ে থাকে। তারা বলেন, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২৩ মিলিয়নেরও অধিক লোক হার্ট ফেইলিউর-এ অক্রান্ত হয়। এই রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ নেয়ার পরও পুনরায় ভর্তি হতে হয়, বিধায় এসকল রোগীদের সেবা প্রদান ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা রোগীর পরিবারের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।