বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোকে রেল-নেটওয়ার্কে আনা হবে : রেলমন্ত্রী

401

চট্টগ্রাম, ৩ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোকে রেলের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। বুলেট ট্রেন, পাতাল ট্রেন ও ইলেকট্রিক ট্রেনও চালু করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হবে প্রথম বুলেট ট্রেন।
মন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া রেলস্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল-রুটে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট সরকার রেলকে ধ্বংস করেছে। আর বর্তমান সরকার বিদেশ থেকে ৪৬টি উন্নতমানের রেলইঞ্জিন ও প্রায় দুই শতাধিক উন্নতমানের রেলকোচ আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, রেলের উন্নয়নের পাশাপাশি রেল এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছেÑ যা দেশের অর্থনিীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বিএনপি সরকারের আমলে রেল লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছিল। একদিনে ১৩ হাজার রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাটাই করা হয়েছিল। বর্তমানে রেলের অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে রেলনেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হবে। ঢাকা-বরিশাল রুটেও ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
‘একটি দেশ উন্নয়নশীল হতে হলে তিনটি স্তর পার করতে হয়’ উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অগ্রগতির তিনটি ধাপ পার হওয়ায় জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে স্থান পেয়েছে।’ ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-কর্মকা-ে সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেল ছাড়াও দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছেন। তাই তিনি আবারও জনগণের ভালোবাসা ও ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
পটিয়া যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ মাঈন উদ্দিন খান বাদল, পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী, চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল হক, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে নতুন ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করেন। রেলটি পটিয়া স্টেশন থেকে দোহাজারী উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।