সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে : বিক্রমাসিংহে

452

কলম্বো, ৩ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : শ্রীলংকার বরখাস্ত হওয়া মন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে হুঁিশয়ার করে বলেছেন, ‘রক্তপাত’ এড়ানোর সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে একইসঙ্গে বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্টের মাধ্যমেই সাংবিধানিক সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করেন।
খবর এএফপি’র।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছেন। ভবনটির বাইরে অবস্থান করছে তার কয়েক হাজার সমর্থক।এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, বেপরোয়া জনগণ’ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ২৬ অক্টোবর ৬৯ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে তার স্থলে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্র রাজাপাকসের নাম ঘোষণা করেন।
বিক্রমাসিংহে তার বরখাস্তের আদেশ মেনে নেননি। তিনি ঔপনিবেশিক যুগের টেম্পল ট্রিস বাসভবনও ছেড়ে যাননি। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এরপর থেকে তার সমর্থনে বাসভবনের বাইরে প্রার্থনা করছেন।
বিরোধীরা যেন সিরিসেনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিতে পারে সেজন্য তিনি পার্লামেন্ট অধিবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।
তার এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক সংকটকে আরো ঘনীভূত করে এবং ক্ষমতার লড়াই সংক্রান্ত সংঘর্ষে অন্তত একজন মারা যায়।
শুক্রবার বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমরা আমাদের সমর্থকদের সহিংসতায় না জড়ানোর আহ্বান করব।’
তবে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি থেকে কি ঘটে যাবে আপনি তা জানেন না।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বেপরোয়া লোক রক্তপাত শুরু করতে পারে।’
একই কথা বলেছেন পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সুরিয়া। তিনিও আশঙ্কা করেছেন যে পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা না হলে রাজপথে রক্তপাত শুরু হতে পারে।
পার্লামেন্টে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির প্রধান বিক্রমাসিংহের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
তিনিও এমন একটি ভোটের আহ্বান করেছেন। ভোটের পক্ষে তিনি একটি সমাবেশ করতে চাইছেন।
কিন্তু পার্লামেন্ট স্থগিত থাকায় রাজাপাকসের পক্ষে অধিক আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য দেনদরবারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কঠোর হাতে তামিল টাইগারদের দমন ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্তে¦ও রাজাপাকসের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এদিকে বিক্রমেসিংহে বলেছেন, তিনি আশা করেন তার সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে।
শিগগিরই এই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।