আগামীকাল কবি সুকান্তর ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী

694

গোপালগঞ্জ, ১২ মে, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল ১৩ মে রোববার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে ৭১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে তিনি কলকাতার যাদবপুর ১১৯ লাউডন স্ট্রিটের রেড এন্ড কিওর হোমে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
ভারতে জন্ম গ্রহণ করলেও কবির পিতৃ পুরুষের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে। সুকান্তের পিতা নিবারণ ভট্রাচার্য্য কলিকাতার কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সুবাদে কবির পরিবারকে কলিকাতাই থাকতে হতো। দীর্ঘদিন কবির পরিবার কলিকাতায় অবস্থান করার কারণে তার পূর্ব পুরুষের ভিটাটি বেদখল হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫৯ বছর বেদখল থাকার পরে ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কবির বাড়ী দখল মুক্ত হয়। দখল মুক্ত হওয়ার পরে কবির পৈত্রিক ভিটাটি দীর্ঘদিন শূণ্য অবস্থায় পড়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জেলা পরিষদ কবির পৈত্রিক ভিটায় একটি অডিটোরিয়াম ও লাইব্রেরী স্থাপন করেছেন। এখানে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছর মার্চ মাসে একটি মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোন বছরই বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না। এ ব্যাপারে অনেকই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলু বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরতে হলে সরকারি ও বেসরকারিভাবে জাঁকজমক পূর্ণভাবে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা উচিৎ। শুধু বাসরিক একটি মেলা করে বাঙ্গালী জাতির কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কবি সুকান্তকে বাঙ্গালী জাতির কাছে তুলে ধরতে হলে সরকারি ভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টচার্য্য কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারন ভট্রাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী।
ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার উল্লেখ যোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।