টিসিবি’র সঙ্গে ভারতের এসটিসি এমওইউ স্বাক্ষর আগামীকাল

355

ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : চিনি আমদানীর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সঙ্গে ভারতের এসটিসি’র এমওইউ স্বাক্ষর আগামীকাল।
আজ বৃহষ্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় সফররত ভারতের ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সচিব রাভিকান্তর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধণ সিংলা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু, ভারতের প্রতিনিধি দলে ফুড এন্ড পাবলিক ডিসট্রিবিউশনের পরিচালক এবং বাণিজ্য বিভাগের কৃষিপণ্য রপ্তানির পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সাপটার আওতায় ভারত থেকে চিনি আমদানীর ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। দেশের চিনি শিল্পকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য পণ্যটি বাংলাদেশের নেগেটিভ লিস্টে রয়েছে। সে কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে চিনি আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, এ জটিলতা দূর করতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করতে আগ্রহী। এমওইউ স্বাক্ষর করতে উভয় দেশ একমত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের টিসিবি এবং ভারতের এসটিসি-এর মধ্যে ২ নভেম্বর এমওইউ স্বাক্ষর হবে, এরপর সে জটিলতা আর থাকবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান বেশি। তবে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অনেক কাঁচামাল ও চাউলসহ রপ্তানির আনুসঙ্গীক জিনিস ভারত থেকে আমদানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। সে কারণে ভারত থেকে বেশি আমদানি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতে পাটপণ্য রপ্তানিতে আরোপিত এন্টিডামপিং প্রত্যাহার এবং ভোজ্য তেল রপ্তানিতে জটিলতা দুর করার আহবান জানানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরো ৪টি বর্ডারহাট চালু করতে একমত হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।