বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ : স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

201

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩
শেখ হাসিনা-বাণী
স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধানীর পাশাপাশি সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের জনগণকে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানের মত মানবিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল (২ নভেম্বর) জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ধানী স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছে। আমি আশা করি, সন্ধানী চক্ষু দানকেও জনপ্রিয় করে তুলে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। এর ফলে স্বেচ্ছায় অঙ্গদান ও মৃত্যুর পর চক্ষুদানে আর কোনো জটিলতা থাকবে না। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোনো উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেয়া যাবে। মৃত্যুর পর সে পরিবারের কোনো উত্তরাধিকার চোখ সংগ্রহের অনুমতি দিতে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশে কর্ণিয়া দান ও কর্ণিয়া সংযোজনে বিপ্লব ঘটবে।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য জাতির পিতা ১৯৭৫ সালে ‘অন্ধত্বমোচন অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন। বর্তমান সরকার অন্ধত্ব প্রতিরোধে এবং চক্ষুরোগ চিকিৎসার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলন, ‘আমরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ করেছি। ছানি অপারেশসহ অন্যান্য চক্ষু অপারেশনের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা করে তাদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও ২ নভেম্বর ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৭০৫/কেএমকে