টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাড়া জাগিয়েছে ট্রেন স্কুল

388

টাঙ্গাইল, ১ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে/ট্রেনের বাড়ি কই?… কবি শামসুর রাহমানের কবিতার মতই টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দিগরবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন স্কুল নয়, চলন্ত ট্রেন। ট্রেন থেকে নামছেন যাত্রীরা। কিন্তু এ যাত্রী সে যাত্রী নয়। কোমলমতি এ যাত্রীদের গন্তব্য আলোর পথে। এরা যেন আলোর দিশারী। বই, খাতা ও কলম হাতে দেশের ভবিষ্যতের দিকে রওনা হয়েছে এ যাত্রীরা। ঠিক ট্রেনের আদলে রং করা হয়েছে তাদের এ জ্ঞানালয়। এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন জেলার ‘ট্রেন স্কুল’। বিদ্যালয়ের স্লিপ অনুদানের টাকায় করা হয়েছে এমন শৈল্পিক আয়োজন।
প্রধান শিক্ষক তারেকুল ইসলাম নিজ হাতে রেল গাড়ির মত করেছেন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দেয়াল। তাকে সহযোগিতা করেছেন বিদ্যালয়ের পিয়ন শাহিন আলম।
দিগরবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর সাথে। তারা জানান, বিদ্যালয়টি ট্রেনের মত করে রং করায় পুরো উপজেলা জুড়ে সাড়া জাগিয়েছে। নজর কেড়েছে সকলের। অনেকেই দিগরবাইদে আসেন বিদ্যালয়টি দেখতে। বিদ্যালয়টি দেখে মুগ্ধ হয়ে ফিরেন তারা।
দর্শনার্থী রূপালী আক্তার ও আব্দুস ছামাদ জানান, বিদ্যালয়টি দেখে খুব ভালো লেগেছে এবং মুগ্ধ হয়েছি। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোখছিদুল আলম রাফি বলেন, আমাদের এ ট্রেন স্কুলের অনুভূতি খুব মজা লাগে। সহকারি শিক্ষক রোকসানা খাতুন ও উম্মে সালমা জানান, আমাদের প্রধান শিক্ষক তারেকুল ইসলাম অনেক যতœ করে দেয়ালে রং করেছেন। যার জন্য এলাকাবাসীসহ অনেকেরই প্রশংসা পাওয়া যাচ্ছে।
স্কুল বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তারেকুল ইসলাম জানান, কবি শামসুর রাহমানের বিখ্যাত কবিতা ‘ট্রেন’ এর বাস্তব চিত্র শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্যই আমি বিদ্যালয়টি ট্রেনের মত করে রং করেছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে করে মজা পেয়ে লেখাপড়ায় মনযোগী হতে পারে সেই চিন্তা থেকেই বিদ্যালয়টি ট্রেনের মত আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.এইচ.এম রেজাউল করিম জানান, আমাদের বিদ্যালয় আমরা গড়ব স্লোগানে বিদ্যালয় আকর্ষণনীয় করে সাজাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ওই বিদ্যালয়টি রং করে ট্রেনের আদলে করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে সকলের নজর কেড়েছে।