মুম্বাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো ২০১৮-এ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের অংশগ্রহণ

809

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (ডাব্লিউটিসি) মুম্বাই এবং অল ইন্ডিয়া এসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এআইএআই) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো’তে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দ্বিতীয়বারের মত অংশ নিয়েছে।
২৯-৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টটিতে ৩০টি দেশ ও ভারতীয় রাজ্য সরকার এবং ৫০টির বেশী শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতের মুম্বাইস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসী উইং-এর প্রধান রাষ্ট্রদূত মনোজ ভারতী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মুম্বাইস্থ ডিপ্লোমেটিক কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এআইএআই)-এর প্রেসিডেন্ট বিজয় কালান্তারি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেয়ারম্যান কমাল মুরারকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ভারতের শিল্প, বাণিজ্য ও বেসামরিক বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।
আজ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের গেস্ট অব অনার ছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের পর্যটন উন্নয়ন মন্ত্রী জয়কুমার জে. রাওয়াল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ, ভারতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অধিক সংখ্যক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং সংবাদকর্মীদের নিকট বাংলাদেশের অপার বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাংলাদেশের রপ্তানীযোগ্য পণ্য ও বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প সম্পর্কে অধিকতর ধারণা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদেরকে বাংলাদেশের ব্যাপারে অধিকতর আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন এই এক্সপোতে অংশ নেয়।
‘বাংলাদেশ : আপনার পরবর্তী বাণিজ্য গন্তব্য’ শীর্ষক নিজস্ব স্টলের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী মেলায় আগত শ’ শ’ দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের সাথে উপ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সফলভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এক্সপোতে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের উপস্থিতিতে উপ হাইকমিশনার মোঃ লুৎফর রহমান একটি ‘কান্ট্রি প্রেজেনটেশন’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরেন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও পর্যটন এর উপর প্রকাশিত ব্রশিয়র, ভিসা প্রদানের যাবতীয় তথ্যাদিসহ বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই এক্সপোতে বাংলাদেশ স্টলটি বাংলাদেশের সম্পর্কে দর্শকদের নানা কৌতুহল মেটায় এবং এতে আসা ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা লাভ করেন।