যশোরে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় যশোর পৌরভার ১১শ’ মা

330

যশোর, ১১ মে, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মায়েদের ভাতা প্রদানের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এবার যশোর পৌরসভার ১ হাজার ১শ’ দরিদ্র মাকে খোঁজা হচ্ছে। সর্বাপেক্ষা দরিদ্র ও পৌরসভার বৈধ নাগরিক ও প্রথম বা দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করেছে এমন মায়েরা আসবেন সুবিধাভোগীর আওতায়। এবার আর শুধু জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা ধরে নয়, উপকার ভোগীকে স্বশরীরে হাজির হতে হবে। মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাই ছাড়াও কয়েকজন মহিলা কাউন্সিলরের সাথে সমন্বয় করে কঠোর সতর্কতার সাথে কর্মসূচি এগুবে বলে জানিয়েছেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সকিনা খাতুন।
সরকারের উন্নয়ন সেবা ও তৃণমূল পর্যায়ের জনস্বার্থমূলক কর্মকান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটি কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি। এটা মা’জাতির সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের প্রতি জাতীয় স্বীকৃতি বলে সরকার ঘোষণা দেয়। কর্মজীবী মা’দের জন্য এই সহায়তা দরিদ্র মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টির উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বলে ২০১৪-১৫ অর্থ বছর থেকে চালু করা হয। যার মাধ্যমে গর্ভধারণকাল থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ৫০০ হারে নগদ অর্থ, আর্থ-সামাজিক ও সচেতনতামূলক সেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন রোধকল্পে শুধুমাত্র ২০ বছরের অধিক বয়েসী গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মায়েদের দেয়া ভাতা কার্যক্রম সারা দেশে সাড়াও ফেলে। তবে মাঠ পর্যায়ে দরিদ্র বাছাইয়ে অধিদপ্তরে নীতিমালা ভুলুন্ঠিত হওয়ার নানা অভিযোগ আসে বিগত কয়েকটি অর্থ বছরে। বিশেষ করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সুপারিশ সামনে এসে যায়। তবে এবার যশোর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শক্ত হাতে বিধি মালা অনুসরণ করবেন বলে ঘাষণা দিয়েছেন।
এবার যশোর পৌরসভার ১ হাজার ১শ’ কর্মজীবী দরিদ্র মাকে এই তালিকায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পৌরসভা সাথে বৈঠক করেছে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বাস্তবায়িত হওয়া কর্মসূচিটি যশোরে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতা সখিনা খাতুন।
তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তিনি পৌরসভার সাথে এনিয়ে মতবিনিময় করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করা হবে। বিশেষ করে মহিলা কাউন্সিলর। বয়স, বৈধ নাগরিকত্ব, গর্ভবতী থাকার প্রমাণপ্রত্র, দরিদ্র, প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণ বিষয় চুলচেরা যাছাই বাছাই করা হবে। কোনো সুপারিশল গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি জানান, আগামী ৩০ মের মধ্যে বাছাই পক্রিয়া সম্পন্ন করার টাগের্ট নেয়া হয়েছে। আগমী ১৫ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ভাতাভোগী নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর অঞ্চলে ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি, অধিদপ্তর পর্যায়ে বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি এবং জেলা পর্যায়ে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার নির্বাচন কমিটি রয়েছে। ভাতাভোগী মাসে ৫শ টাকা করে ২ বছর মেয়াদে পাবেন। ব্যাংকিং সিস্টেম এর আওতায় এই ভাতা উপকারভোগীদের মাঝে