বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিল, ২০১৮ পাস

1246

সংসদ ভবন, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির জীবনমানের প্রত্যাশিত উন্নয়ন করে যথাসম্ভব কর্মক্ষম জীবনে ফিরিয়ে আনতে রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় বিধান করে আজ সংসদে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিল, ২০১৮ পাস করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলের বিধান কার্যকর হবার পর যথাশিগগির সম্ভব গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিধান করা হয়েছে। কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় রেখে প্রয়োজন বোধে দেশের যে কোন স্থানে অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপনের বিধান করা হয়।
বিলে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল গঠনের বিধান করা হয়েছে।
বিলে কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলী, কাউন্সিলের সভা, কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, নির্বাহী কমিটি গঠন, কমিটি গঠন, কাউন্সিলের তহবিল, রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিটের অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে লাইসেন্স প্রদান, বাংলাদেশের বাইরে রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা সংক্রান্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি, স্বীকৃতি প্রত্যাহার, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, প্রতিবেদন পেশ, প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলের বিধান লংঘনের কারণে সংঘটিত অপরাধের বিচার পদ্ধতি এবং সুনির্দিষ্ট দন্ড বিধান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নূরুল ইসলাম মিলন, নূরুল ইসলাম ওমর, ডা. আককাছ আলী সরকার, রুস্তম আলী ফরাজী, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে একটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।