যুদ্ধাপরাধে রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের মৃত্যুদন্ড

300

ঢাকা. ১০ মে, ২০১৮ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় হত্যা, ধর্ষণ, গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে ওই সময়ের আল-বদর কমান্ডার রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়। এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের ৩২ তম রায়।
রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা চার অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে আসামি ফকিরকে মৃত্যুদন্ড এবং দুটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। ৬৯ বছর বয়সী আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে আজ রায়ের সময় কাঠগড়ায় হাজির করা হয়।
এ মামলায় প্রাথমিকভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলও অভিযোগ গঠনের আগে গ্রেফতারকৃত আসামি আমজাদ আলী কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে তার নাম বাদ দেয়া হয়। আরেক আসামি ওয়াজ উদ্দিন মারা যান পলাতক অবস্থায়। অভিযোগ গঠনের পর তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হলে তার নামও বাদ দেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রিয়াজ উদ্দিন ফকির ছিলেন আল-বদর কমান্ডার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ অগাস্ট থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড, রাঙ্গামাটিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন বানা নদী, দিব্যানন্দ ফাজিল মাদরাসা, ফুলবাড়িয়া ঋষিপাড়া, আছিম বাজার ও ভালুকজান গ্রামে এ আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলায় শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেষ সাহা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
রায়ের পরে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে দু’টি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং দু’টি অভিযোগে রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।