দেশের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির জেনেভা ত্যাগ

1060

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বিশ্ববিনিয়োগ ফোরাম-২০১৮ এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানে সুইজারল্যান্ডে তার ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশের পথে আজ দুবাইয়ের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী আমিরাতের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া তিনটায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়) জেনেভার কোয়েন্ট্রিন বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ কার্যালয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান এবং জেনেভার আঞ্চলিক সরকার ও ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আঙ্কটার্ড)-এর প্রতিনিধিগণ বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।
সেখানে দুই ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর রাষ্ট্রপতি স্থানীয় সময় রাত দুইটায় আমিরাতের ফ্লাইট নং ইকে ৫৮২ যোগে দেশের উদ্দেশে দুবাই ত্যাগ করবেন।
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী ফ্লাইট আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ জেনেভার প্যালেইস দেস নেশন্স-এ ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম-২০১৮ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নেন। এবারে এই সম্মেলনের প্রতিপ্রাদ্য ছিল ‘ইনভেস্টিং ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’।
তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে তার বক্তৃতায় মানবসম্পদ, তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে সঠিক বিনিয়োগের ওপর জোর দেন।
বিনিয়োগ ফোরামে তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং এতে অংশ নেয়া দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি সেখানে তার প্যালেস অব রেসিডেন্সে প্রবাসী বাংলাদেশী ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতাদের বক্তব্য ধৈয্যসহকারে শোনেন। তিনি তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
এই সফরকালে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ শীর্ষ সম্মেলনের বাইরে গত মঙ্গলবার গ্র্যান্ড হোটেল কেমপিনস্কি-এর প্লানারি হলে অনুষ্ঠিত ২০তম হোমল্যান্ড এন্ড গ্লোবাল সিকিউরিটি ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘দ্য হার্ডেনিং অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স : এ রিস্ক টু পিস এন্ড সিকিউরিটি’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা, জীববৈচিত্র্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুতি এবং অপর কতিপয় আন্তর্জাতিক বিষয় বিশেষ করে শান্তি ও সংঘাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।