বাসস দেশ-৯
হত্যা মামলা-রায়
স্কুল ছাত্র হৃদয় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড
কুষ্টিয়া, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্র হৃদয় হত্যা মামলার রায়ে আজ ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের পুত্র সাব্বির খান, হাউজিং এ ব্লকের আজব আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মসলেম শেখের পুত্র আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাব্বির খান উপস্থিত থাকলেও বাকিরা পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া এলাকা থেকে জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র মুতাসসিম বিন মাজেদ ওরফে হৃদয়কে আসামিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ৪ দিন পর তারা হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুনের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসাবে ১২ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে দেন-দরবার শেষে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা হৃদয়কে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। তাদের কথামত ঘটনার ১০ দিন পর ২ জুন গোপনে নির্দিষ্ট স্থানে ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেন হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুন। তারপরও অপহরণকারীরা হৃদয়কে ফেরত না দিলে হৃদয়ের মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। আটককৃতদের তথ্যানুযায়ী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকা থেকে আজব আলী’র ছেলে অপহরণকারী হেলাল উদ্দীন ওরফে ড্যানী (২২)কে আটক করে পুলিশ।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ড্যানী হৃদয়কে অপহরণ করার কথা অপকটে স্বীকার করে। সে জানায়, ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার মসলেম শেখ’র ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে ইপিআর’র মাধ্যমে অপহৃত হৃদয়কে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ১০ মাইল নামক স্থানে ফখরুলের ইটভাটার পাশে জমিতে পুতে রাখা হয়। পুলিশ ওই স্থান থেকে হৃদয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এডভোকেট আকরাম হোসেন দুলাল জানান, পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলামত বিশ্লেষণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৬৪০/-শহক