নড়াইলে বোরোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

352

নড়াইল, ৯ মে, ২০১৮ (বাসস) : চলতি মৌসুমে নড়াইলের তিন উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি ও কৃষকদের আগ্রহে এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫হাজার ১শ’৭৮ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় মোট ৪০ হাজার ৯শ’ ৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৬ হাজার ১শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।চাষকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮শ’ ৯৩ মেট্রিক টন।গত বছর এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৩শ’ ৭৫ হেক্টর কম জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল। গত ২০১৬-১৭ মৌসুমে এখানে মোট ৪১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল। জেলায় ইতোমধ্যে পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ধান কাটা পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানালেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় জানান, জেলার বিস্তীর্ণ মাঠে পাকা ধানের সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সময়মতো উন্নতমানের বীজ, পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক চাষিদের মাঝে সরবরাহ করায় বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর অতি বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের কৃষকরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ অঞ্চলে বোরো ধানের আবাদ বাড়ছে বলে তিনি জানান।
তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষাণ-কৃষাণীরা পাকা ধান কেটে মাড়াই শেষে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশ কয়েকজন কৃষক এ প্রতিনিধিকে জানান,গত বছর ধান-চালের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর তারা বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের উৎপাদন ৫ মে. টন এবং উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ৪ মে:টন করে ফলন হয়েছে।বোরো ধান হচ্ছে এ জেলার কৃষকদের অন্যতম প্রধান ফসল।প্রতি বছর কৃষকরা আগ্রহ সহকারে এ ফসল চাষ করে থাকেন।ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তোলা পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ফলন ভালো হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান।