প্রবীণ গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে : সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী

295

ঢাকা, ৮ মে, ২০১৮ (বাসস) : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রবীণ গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা ও গ্রুপ ইনসুরেন্সসহ বিভিন্ন সুবিধাসহ উদ্যোগ নেয়া হবে।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পিআইবি’র পরিচালক মো.ইলিয়াস ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে গণমাধ্যম কর্মীদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবীণ বন্ধুর নির্বাহী পরিচালক ডা. মহসীন কবির লিমন।
আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক ড.এ এসএম আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাবেয়া সুলতানা লাইজু, বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান,বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. দলিলুর রহমান ,সাংবাদিক সলিমুল্লাহ সেলিম ও জামাল উদ্দিন জামাল প্রমুখ।
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের চিকিৎসা সুবিধা এবং পেনশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্র উদ্যোগ নিতে পারে। তিনি আগামী বাজেটে প্রবীণদের ভাতা প্রদানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। তারা অন্যের কথা বলে কিন্তু নিজেদের অধিকারে কথা বলতে না পারায় শেষ জীবনে অনেক কষ্ট করে থাকেন। তাই সাংবাদিকদের জন্য সরকার কল্যাণ ট্রাষ্ট্র গঠন করেছে।
মূল প্রবন্ধে প্রবীণ বন্ধুর নির্বাহী পরিচালক ডা. মহসীন কবির লিমন প্রবীণ সাংবাদিকদের সামগ্রিক অবস্থা ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত শীর্ষক মূল প্রবন্ধে বলেন, বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন। দেশের প্রায় ১১ শতাংশ প্রবীণ গণমাধ্যম কর্মী রয়েছেন যারা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে খুবই মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন।
অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার ৭২ লাখ ব্যক্তিকে ভাতা প্রদান করছে। কিন্তু প্রবীণ সাংবাদিকরা তা থেকে বঞ্চিত থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণদের জন্য ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে তাদের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরো বাড়ানো হলে এদেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মনোবলকে আরো জোরদার করবে। তাদের মর্যাদা অনেক বাড়বে।
অন্যান্য বক্তরা আগামী অর্থ রছরের বাজেটে প্রবীণদের জন্য আলাদা বিশেষ বরাদ্দ রাখার জন্য দাবি জানান।