বাল্লা স্থল বন্দর দিয়ে এবার আমদানী হচ্ছে ভারতীয় ফল

426

হবিগঞ্জ, ২১ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত বাল্লা স্থল বন্দর দিয়ে এবার ভারতীয় ফল আমদানী শুরু হয়েছে। শনিবার সিলেটের আমদানী-রফতানি প্রতিষ্ঠান মদিনা এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে এক গাড়ী আপেল আমদানী করেছে। রাস্তা এবং ব্রীজ না থাকায় শ্রমিকরা মাথায় নিয়ে নদী পারাপারের মধ্যে এই মাল আমদানী করে।
বাল্লা স্থল বন্দরে গিয়ে দেখা যায় সীমান্তের অপারে ভারতের খোয়াই মহুকুমার পুরান বাজারে একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে শ্রমিকরা আপেলের বাক্স নিয়ে খোয়াই নদী পায়ে হেটে এপারে আসছেন এবং আমদানীকারক-এর কাভার্ড ভ্যানে সরাসরি বোঝাই করছেন। এ সময় বন্দরের ব্যবসায়ী, কাস্টম প্রতিনিধি, আমাদানীকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন।
আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মদিনা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম জানান, এই বন্দর দিয়ে আমদানী করতে ঝামেলা বেশী হলেও পরিবহন খরচ কম এবং সীমান্তের ওপারে মূল্য কম থাকায় এই বন্দর দিয়ে তিনি ফল আমদানী শুরু করেছেন। বন্দরের উন্নয়ন হলে আরও বেশী করে আমদানী-রফতানি সম্ভব হত।
বাল্লা স্থল বন্দর আমদানী-রফতানিকারক সমিতির সাধাণন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরা ও আসামের মধ্যবর্তী স্থানে জাম্বুরা ছড়া নামক স্থানে রয়েছে বিশাল ফল বাগান। ওই সব বাগানে উৎপাদিত আপেল ও কমলার দাম কম এবং বাল্লা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানী করতে পরিবহন খরচ কম হওয়ায় এদিক দিয়ে ফল আমদানী শুরু করা হয়েছে। আগামীতে আরও ফল আমদানী বাড়বে এই বন্দর দিয়ে। তবে বন্দরের রাস্তাঘাট ভাঙ্গা থাকায় আমদানীকারকরা এদিকে আসতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট সজল দাস জানান, বর্তমানে বাল্লা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানীর তুলনায় রফতানি হচ্ছে বেশী। এই প্রথম এখান দিয়ে ফল আমদানী শুরু হয়েছে। এখান দিয়ে আকিজ, স্কয়ার ও বেঙ্গল গ্রুপের বিভিন্ন মালামাল রফতানি হচ্ছে। এর মাঝে জুসের ব্যাপক চাহিদা। তিনি আরও জানান, এই বন্দরের দিন দিন ব্যস্থতা বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ২০জন লোক ভারতে যাচ্ছেন এবং ১০জন লোক ভারত থেকে আসছেন। কিন্তু রাস্তাঘাট ভাল না হওয়ায় লোকজন এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, বাল্লা স্থল বন্দরের আধুনিকায়নের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে কেদারাকোর্ট নামক স্থানে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ওই দিকে বন্দর চালু হলে কোন ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজন হবে না। তখন নদীর পুরো অংশ ভারতের মধ্যে থাকবে এবং তারাই ব্রীজ নির্মাণ করবে।